ছবি: প্রতীকী
চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সুস্থ হওয়ার জন্য৷ কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার বদলে এক রোগী যা করলেন, তাতে বিস্তর চাঞ্চল্য, বিতর্ক৷ উত্তপ্ত আসানসোল জেলা হাসপাতাল৷ সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, এক রোগী পাঁচতলা থেকে সটান ঝাঁপ দিলেন। নিচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷
রবিবার ভোরে এমন রোমহর্ষক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর চল্লিশের তাপস বাউরির। হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি থাকায় গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে তাতে৷ এদিন ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়তেই কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি রেকর্ড ঘেঁটে দেখেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাঁচতলার ছাদে একেবারে কোণা থেকে এক ব্যক্তি ঝাঁপ দিলেন নিচে। দূর থেকে নাইট ভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এই দৃশ্য। ঘটনা জানাজানি হতেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মৃতের পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করেন৷
দিন চারেক আগে সালানপুরের বোলকুণ্ডার বাসিন্দা তাপস বাউরি পেটের সমস্যা নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভরতি হন৷ সেখানকার মেডিক্যাল বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি৷ সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, রবিবার ভোররাতে পাঁচতলার ফায়ার গেটে ওঠেন তাপস। তারপর সেখান থেকে ঝাঁপ দেন। তবে এই মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই বহু প্রশ্ন উঠছে৷ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হলেও, মৃতের পরিবারের সদ্যসরা হাসপাতালের এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, পাঁচতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে যদি আত্মহত্যা হয়, তবে রক্তের দাগ নেই কেন? অত উঁচু থেকে পড়লে শুধুমাত্র একটি হাত ও একটি পা ভাঙল আর শরীরের অন্য কোথাও ক্ষতিগ্রস্ত হল না? তাপস বাউরির অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার৷
মৃতের ভাইপো প্রশান্ত বাউরি জানান, ‘তাঁর কাকা শনিবার রাতেও সুস্থ ছিলেন। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, সোমবার ছুটি দিয়ে দেবেন। তারপরই এসে শুনছি কাকা পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। গোটা ব্যাপার আমাদের কাছে রহস্য লাগছে।’ মৃতের আত্মীয়রা বিক্ষোভ চলাকালীন নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতি নিয়ে সরব হন৷ একজন রোগী ভোররাতে দোতলা থেকে পাঁচতলায় উঠে গেল, অথচ কেউ টের পেলেন না? এই প্রশ্নের মুখে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ উভয়ের তরফে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.