সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়ার ইএসআই হাসপাতালে মিলল এক রোগীর ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান অন্য রোগীরা। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান, বুধবার রাতেই গলা দড়ি দিয়ে আ্ত্মহত্যা করেছেন অমর ভৌমিক। এদিকে, এই ঘটনার জানাজানি হতেই উলুবেড়িয়ার নিমদিঘি ইএসআই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসা না করে ফেলে রাখা হয়েছিল অমরবাবুকে। তাই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ইএসআই হাসপাতালের সুপার সমীর মাইতি।
[বাড়িতে বাউন্সার পাঠিয়ে কেন নজরদারি? শোভনের নির্দেশে ক্ষুব্ধ রত্না]
উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ার চণ্ডীপুরের বাসিন্দা অমর ভৌমিক। স্থানীয় একটি মিলে চাকরি করতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে নিমদিঘি ইএসআই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি। চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে শৌচাগারে অমর ভৌমিকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অন্যন্য রোগীরা। শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ, পুলিশ আসার আগেই তড়িঘড়ি দেহটি নামিয়ে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বুধবার রাতে সম্ভবত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন অমর ভৌমিক। কিন্তু, রাতে শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহটি কারও নজরে পড়েনি। এদিকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে উলুবেড়িয়ার নিমদিগি ইএসআই হাসপাতালে পৌঁছন মৃতের পরিবারে লোকেরা। তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। অমর ভৌমিকের বাড়ির লোকের অভিযোগ, ভরতি হওয়ার পর থেকেই কার্যত চিকিৎসা না করে ওই রোগীকে ফেলে রাখা হয়েছিল। তাই মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন অমরবাবু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়। শেষপর্যন্ত, পুলিশের কাছ থেকেই যথাযথ তদন্তের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন উলুবেড়িয়া নিমদিঘি ইএসআই হাসপাতালে সুপার সমীর মাইতিও।
[আজব রোগ ‘পাইকা’র ছোবলে অখাদ্যে লোভ, মেনুতে কাচ থেকে টিকটিকি-পেরেকও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.