ছবি: প্রতীকী।
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: চার ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করেও মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। অভিযোগ, তার ফলে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল রোগীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Jalpaiguri Super Speciality Hospital)। ওয়ার্ড মাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভে শামিল নিহতের পরিজনেরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আটক করে রাখা হয় তাকে। পরে জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঠিক কী হয়েছিল? বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন সমীর মুণ্ডা নামে জয়পুর চা বাগানের বাসিন্দা এক যুবক। বুধবার ভোরে জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি হন। কোভিড টেস্ট করা হয় তাঁর। তাতেই ধরা পড়ে তিনি করোনা (Covid 19) আক্রান্ত। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে তাঁকে। ভোর পাঁচটা থেকে ন’টা পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্সের অপেক্ষায় বসে থাকে রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর অ্যাম্বুল্যান্স পান তাঁরা। অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) যখন হাসপাতালেএসে পৌছয় ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন রোগী।
ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার কুলীন সিনহা ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃত করোনা রোগীর পরিবারের লোকেরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় হাসপাতাল সুপার এবং উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন নিহতের পরিজনেরা।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢোকার পথ একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার আইসি’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি আয়ত্বে আনা সম্ভব হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.