সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে বিপদের মুখে দক্ষিণবঙ্গের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি। গঙ্গার পাড়ে শ্রীরামপুরে এবার ভেঙে পড়ল তৃণমূল (TMC) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) অফিসের একাংশ। শ্রীরামপুর ধোবিঘাটের পাশেই রয়েছে ‘গঙ্গাদর্শন’ আবাসন। জানা গিয়েছে, এই আবাসনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফ্ল্যাট আছে। রয়েছে তাঁর কার্যালয়ও। সোমবারের টানা বৃষ্টিতে আচমকাই সাংসদের অফিস সংলগ্ন আবাসনের পাঁচিলটি ধসে পড়ে।গঙ্গার পাড় ভেঙেই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।তবে আবাসনের পাঁচিল এভাবে ভেঙে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা ছিলই। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে (Rain) দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রভাব পড়বে বেশি। হাওড়া, হুগলি এলাকায় গঙ্গার পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। শ্রীরামপুর (Serampore) এলাকায় গঙ্গার ধারেও মাটি আলগা হয়ে বিপদ সংকেত দিচ্ছিল। তবে সোমবার বিপর্যয় ঘটেই গেল। ধোবিঘাটের পাশের গঙ্গাদর্শন আবাসনের পাঁচিলের একাংশ ধসে পড়ে। উল্লেখ্য, এই আবাসনের যে অংশে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস, তার পিছনের দিকের পাঁচিলটি ভেঙে পড়েছে।
আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গঙ্গার পাড়ে ভাঙনের জেরে মাটি আলগা হয়েই এই বিপর্যয় ঘটল। দ্রুত ভেঙে পড়া অংশ মেরামতির দাবি তুলেছেন তাঁরা। নাহলে আরও বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হাওড়া, হুগলিতে (Hooghly) বৃষ্টি আরও বাড়বে। ফলে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় আশঙ্কা বেশি।
শুধু শ্রীরামপুরের গঙ্গা সংলগ্ন অংশই নয়, টানা বৃষ্টিতে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। টিকিয়াপাড়া, সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন চত্বর এখনও জলবন্দি। এছাড়া গ্রামীণ হাওড়ার বেশ কিছু অংশও জলমগ্ন। পাশের জেলা হুগলির পরিস্থিতিও প্রায় একই। রূপনারায়ণের জলে খানাকুলের একাধিক গ্রামে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ধান্যঘড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি এলাকা। আরামবাগ ব্লকের বহু বাসিন্দা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। চলতি বর্ষার মরশুমে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। তা কাটতে না কাটতেই বর্ষা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপের বৃষ্টিতেও প্রায় একই পরিস্থিতি। সবমিলিয়ে, বর্ষণের বিপত্তি যেন কাটছেই না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.