ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান: কেতুগ্রামের রেণু খাতুনের (Renu Khatun) ঘটনার ছায়া এবার পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) শক্তিগড়ে। স্ত্রীর নার্সের চাকরিতে ঘোর আপত্তি স্বামীর। তার জেরেই মারধর করে মহিলাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে ব্রততীর সঙ্গে বিয়ে হয় শক্তিগড়ের বাসিন্দা রাহুল মিশ্রের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত রাহুল। শুক্রবার অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। ব্রততীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় রাহুল, এমনটাই অভিযোগ। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ব্রততী।
বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্ধমানের ডিএসপি অতনু ঘোষাল বলেন, “ওই মহিলা বধূ নির্যাতনের অভিযোগ জানান। চাকরিতে আপত্তির অভিযোগ উনি আমাদের কাছে করেননি। বধূ নির্যাতনের অভিযোগেই আমরা পদক্ষেপ করেছি।” তবে প্রতিবেশীদের দাবি, স্ত্রীর নার্সের চাকরি নিয়ে আপত্তি ছিল রাহুলের। সেই কারণেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত যুবক।
উল্লেখ্য, কেতুগ্রামের রেণু কাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। কেতুগ্রামের রেণু খাতুন নিজের চেষ্টায় সরকারি নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন। তাতেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল স্বামী। ভয় তৈরি হয়েছিল যে, যদি চাকরি পেয়ে দূরে চলে যায় স্ত্রী। সেই কারণেই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়েছে যুবক। বন্ধু ও ভাইদের সাহায্যে কেটে নিয়েছে স্ত্রীর হাতের কবজি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন-সহ অন্যান্যরা দেখা করেছেন নির্যাতিতার সঙ্গে। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগে ফের চাকরির কারণে নির্যাতিত নার্স।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.