শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: সাতসকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল চারতলা একটি বাড়ি। বাড়িটি গুদাম হিসাবে ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন মালিক নিমাই সামন্ত। খাল সংস্কারের ফলে এই কাণ্ড ঘটেছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। শনিবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য দাসপুরের ২ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটি নিমাই সামন্তের। ওই বাড়িটিতে কেউ বসবাস করেন না। তবে গুদামঘর হিসাবে ভাড়া দেন বাড়িমালিক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোমড়াই খাল অবৈধভাবে দখল করে পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়াই বাড়ি তৈরি করেছিলেন। বর্ষার কথা ভেবেই শুক্রবারই গোমড়াই খালের একাংশ সংস্কার করা হয়। তার উপর আবার রাতভর ভারি বৃষ্টিও হয়। স্থানীয়দের দাবি, জোড়া ধাক্কায় শনিবার সাতসকালে ভেঙে পড়ে চার তলা ওই বাড়িটি। আচমকা একটি পাকাবাড়ি ভেঙে পড়তে দেখে অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষ ভিড়ও জমান ওই এলাকায়। পঞ্চায়েতের লোকজনও এলাকায় জড়ো হয়ে যান। এই বাড়িটির ভিতরে কেউ বসবাস না করায় প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ভিতরে কেউ থাকলে বড়সড় দুর্ঘটনা যে ঘটত সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুভাষ মণ্ডলের কানেও বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনার খবর পৌঁছয়। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়াই নিমাই সামন্ত গোমড়াই খাল দখল করে চার তলা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। গোমড়াই খাল সংস্কারের জেরেই হয়তো এমন বিপত্তি।” যদিও এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় আর বাড়ি মালিক নিমাই সামন্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি ভাঙার খবর সকলে জানার পর ভিড় জমালেও শুধুমাত্র বাড়িমালিক কেন আসছেন না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে মালিকের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে আইনানুগ ব্যবস্থাও।
এ প্রসঙ্গে ঘাটাল সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “অবৈধভাবে খালের মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করা হয়। ১৫ দিন আগে বাড়িমালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কোনও উত্তর মেলেনি।” সেই একই কথা শোনা যায় সেচ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরির গলাতেও। তিনি বলেন, “আবার নোটিস পাঠানো হয়েছে বাড়িমালিককে। অবিলম্বে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে তাকে। তিনি ব্যবস্থা না নিলে পালটা ব্যবস্থা করা হবে।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.