রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: রক্তের সম্পর্কে তুতো ভাই-বোন। কিন্তু, নিজের জ্যাঠার ছেলেকেই ভালবেসে ফেলেছিল এক নাবালিকা। বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়েও করেছিল তারা। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হল না। বাড়িতে এনে রীতিমতো মারধর করে প্রেমিককে তাড়িয়ে দিল পরিবারের লোকেরা। আর শাঁখা ভেঙে, সিদুঁর মুছিয়ে ঘরে তোলা হয় তাকে। শেষপর্যন্ত লজ্জায়, অপমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল ওই নাবালিকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে।
[শিক্ষকরাই সাফাইকর্মী! স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ]
কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের নামালডিহা গ্রামে বাসিন্দা সরস্বতী মান্না। স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। নিজের জেঠুর ছেলের গৌরাঙ্গের প্রেমে পড়েছিল সরস্বতী। খুড়তুতো বোনকে অন্য চোখে দেখত ওই যুবকও। কিন্তু, তাদের এই সম্পর্ক যে পরিবারের লোকেরা মেনে নেবে না, তা জানত সরস্বতী ও গৌরাঙ্গ। গত বুধবার দু’জনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করে। অনেক খোঁজাখুজির পর, সরস্বতী ও গৌরাঙ্গের সন্ধান পেয়ে যায় বাড়ির লোকেরা। তাদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু, সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার, বাড়িতে ফিরে গৌরাঙ্গকে বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দেয় সরস্বতীর মামা ও পরিবারের লোকেরা। আর সদ্য ‘বিবাহিত’ সরস্বতীর শাঁখা ভেঙে দেওয়া হয়। মুছে দেওয়া হয় সিঁদুর। এই মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে ওই নাবালিকা। রবিরার সকালে শোওয়ার ঘরেই সরস্বতীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাঁথির নামালডিহা গ্রামে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও এ বিষয়ে মুখ কুলুপ এঁটেছেন মৃতার পরিবারের লোকেরা। দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুন জানা বলেন, ছোট্ট মেয়ে জেঠতুতো দাদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। মারধর না করে, বোঝানো উচিত ছিল।
[জঙ্গলমহলের প্রাণের উৎসব টুসু, চৌডলে রঙিন সমস্ত জলাশয়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.