ছবি: প্রতীকী।
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ফের ধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে। অত্যাচারের জেরে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। এবার ঘটনাস্থল নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি। নাবালিকার মৃত্যুর পর ভয়ে পুলিশে কিছু না জানিয়েই দেহ দাহ করে দেয় পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে ভয় কাটিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ নাবালিকার পরিবার। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। সম্ভবত রবিবারই ঘটনাস্থলে যাবেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও।
ঘটনার সূত্রপাত গত সোমবার। ওইদিন নদিয়ার হাঁসখালির গ্যাড়াপোতা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেল গোয়ালির জন্মদিন ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিল মৃতা অর্থাৎ যুবকের প্রেমিকা। স্বাভাবিকভাবেই নাবালিকা গিয়েছিল সেখানে। অনেক রাতে অপরিচিত এক মহিলা নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে আসে। সেই সময় অসুস্থ ছিল পড়ুয়া। রাতে অসুস্থতা বাড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ভোরের দিকে নাবালিকার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে যান পরিবারের সদস্যরা। ফিরে এসে দেখেন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি এলাকার বিশেষ কাউকে জানায়নি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে শ্মশানে দাহ করা হয় নাবালিকার দেহ।
এরপর গতকাল অর্থাৎ ৯ এপ্রিল হাঁসখালি থানায় যান মৃতার বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা জানান, জন্মদিনের পার্টির নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক সোহেল গোয়ালি অর্থাৎ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। এরপর মৃতার পরিবারকে ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। সেই কারণেই পুলিশে খবর না দিয়ে নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। ঘটনা জানাজানি হতেই চাইল্ড লাইনে খবর যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুর এলাকার প্রতিবেশীর বিকৃত লালসার শিকার হয়েছে এক নাবালিকা। রমজান (Ramadan) উপলক্ষে রোজার উপোস রেখেছিল নাবালিকার পরিবার। গত ৩ এপ্রিল ভোরে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে গিয়েছিল ওই খুদে। সেই সময় কাছেই লুকিয়ে ছিল ওই এলাকারই এক যুবক। আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে নাবালিকার হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এবার জন্মদিনের পার্টির নামে ডেকে প্রেমিকাকে ধর্ষণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.