প্রতীকী ছবি
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাবা-মায়ের কাছে বড় করে জন্মদিন উদযাপনের আর্জি জানিয়েছিল কিশোর। কিন্তু অর্থের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। তবে কেক নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ভ্যানচালক বাবা। ঘরে ফিরতেই ভয়ংকর দৃশ্য। জন্মদিনেই উদ্ধার ছেলের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বনগাঁ থানার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে।
বনগাঁ(Bangaon) থানার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রীতম সরকার। বয়স ১১ বছর। গাড়াপোতা হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। বাবা প্রকাশ সরকার পেশায় ভ্যানচালক। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে সংসার প্রকাশের। বৃহস্পতিবার ছিল ছোট ছেলে প্রীতমের জন্মদিন। সে জন্মদিন পালনের বায়নাও করেছিল। মাংস খেতে চেয়েছিল। পরিবারের কথায়, প্রীতমকে বলা হয়েছিল কেক সন্ধ্যার পরে আনা হবে। প্রীতমের মা পায়েস করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। মাংসটা পরেরদিন হবে।
বাবা প্রকাশ সরকার বলেন, “প্রীতম ঘরে বসে কার্টুন দেখছিল। বাকিরা কেউ বাড়ি ছিল না। আমি বাজার থেকে কেকে এনে দেখি ও ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।” অভিমানে আত্মহত্যা? নাকি খেলার ছলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু কিশোরের? তা নিয়ে ধন্দে পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.