Advertisement
Advertisement

Breaking News

Migrant worker

ভিনদেশে কাজে গিয়ে মৃত্যু বাংলার শ্রমিকের, দেহ বাড়ি ফেরানো নিয়ে চরম সংকটে পরিবার

স্থানীয় বিধায়ক, এমনকী বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের দ্বারস্থও হয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

A Migrant worker of Bengal died in Saudi Arabia
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 13, 2024 11:08 pm
  • Updated:April 13, 2024 11:10 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: সৌদি আরবে (Saudi Arabia) কাজে গিয়ে মৃত্যু পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। তাঁর দেহ ঘরে ফেরাতে গিয়ে প্রবল সমস্যায় পরিবার। বাধ্য হয়ে মৃতের স্ত্রী ও সন্তান পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। স্থানীয় বিধায়কের কাছেও সাহায্যের আর্তি জানিয়েছেন। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের কাছেও সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তাঁরা। তবে এখনও দোহ আদৌ বাড়িতে ফেরানো যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান পরিবার।

জানা গিয়েছে, ভাতারের পলসোনা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মগলেচুর। তাঁর বয়স ৫৩ বছর। সৌদি আরবের একটি সংস্থার ট্রাক চালাতেন তিনি। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী রওশনা বেগম শেখ এবং একমাত্র ছেলে শেখ জসিমউদ্দিন। জসিমউদ্দিন সদ্য স্নাতক পাশ করেছেন। চাকরির খোঁজ করছেন। জসিমউদ্দিন জানিয়েছেন, তাঁর বাবা শেখ মগলেচুর সাড়ে চারবছর আগে সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে বাড়ি আসেননি। জসিমউদ্দিন বলেন, “তিনসপ্তাহ আগে বাবা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। তখন থেকেই সৌদি আরবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইদের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় বাবা মারা গিয়েছেন। বাবার দেহ যাতে গ্রামে এনে সৎকার করতে পারি এবং সবাই শেষ দেখা দেখতে পারি সেজন্য ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু বাবা যে সংস্থায় কাজ করতেন তারা দেহ পাঠানোর বিষয়ে কোনও দায়িত্ব নিতে চাইছে না। এই অবস্থায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগস্টেই শেষ হবে কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ, নববর্ষের প্রাক্কালে সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী]

জসিমউদ্দিন জানিয়েছেন শনিবার তাঁরা ভাতার ব্লক প্রশাসনের কাছে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর পাশাপাশি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কাছেও সাহায্য চেয়েছেন মৃতের স্ত্রী রওশনা বেগম শেখ। তবে এখনও তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। এবিষয়ে ভাতারের (Bhatar) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, ” ঘটনার কথা শুনেছি। আমি পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছি, কীভাবে দেহটি পরিবারের কাছে নিয়ে আসা যায়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement