রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তিহার জেলে ফাঁসুড়ে না থাকায় নিভর্য়া কাণ্ডের অভিযুক্তদের ফাঁসির নির্দেশ জারি হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে জেলের কর্তাদের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আবেদন জানালেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক যুবক।
২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয় এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে। কয়েকদিন যমে মানুষে টানাটানির পর, হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল গোটা দেশ। শেষপর্যন্ত তাদের ফাঁসির সাজা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার সেই সাজা মকুবের আর্জি জানিয়েছিল অভিযুক্ত বিনয় শর্মা। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনপত্র দিল্লি প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তারা আবার সেই আরজি উপরাজ্যপালের কাছে পাঠায়। পাশাপাশি আবেদন যাতে মঞ্জুর না করা হয়, সেই আবেদনও জানান। সেই আবেদন আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে বলে খবর। যদিও সেই আবেদন মঞ্জুর হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে চলতি মাসেই তাদের ফাঁসি হতে পারে। কিন্তু সেই ফাঁসি দেবে কে? কয়েকদিন ধরেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। যে কোনও মূল্যে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে এগিয়ে এলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা ৩৫ এর এক যুবক চিত্তরঞ্জন দাস। অভিযুক্তদের ফাঁসি দিতে চান তিনি। চিঠি লিখে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, পেশায় মালবাহী গাড়ির চালক ওই ব্যক্তি। তিনি জানান, প্রায় দশ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাড়ি নিয়ে ঘুরেছেন। বিভিন্ন জায়গায় মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হতে দেখেছেন। তাই তিনি মনে করেন যে, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজে যারা যুক্ত তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। সমাজে বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই তাদের। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত তাঁর। ছেলের সিদ্ধান্তে খুশি চিত্তরঞ্জন দাসের মা। তাঁর কামনা যেন সকল অপরাধীরা শাস্তি পান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.