ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে খুনের পর দেহ লোপাটের চেষ্টা। প্রতিবেশীর বাড়ির মাটি খুঁড়ে গর্ত থেকে উদ্ধার দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর উত্তর আমঝাড়া এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। মোট দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে এই ঘটনা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।
নিহত বছর দশেকের ওই নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর উত্তর আমঝাড়া এলাকার বাসিন্দা সে। গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় নাবালিকা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি ওইদিন। বুধবার সকালে নাবালিকার পরিবারের তরফে বাসন্তী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তবে দু’দিন কেটে গেলেও নাবালিকার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই নাবালিকার পরিবারের এক প্রতিবেশীর কথাবার্তায় খটকা লাগে। তারাই নাবালিকার কোনও ক্ষতি করে থাকতে পারে বলেই মনে করেন।
শুক্রবার সকালে সাহানারা লস্কর নামে ওই প্রতিবেশীর বাড়িতে চড়াও হন নাবালিকার পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীর বাড়ির ভিতরে ঢোকমাত্রই তাঁরা দেখেন এক জায়গায় মাটি খোঁড়াখুঁড়ির চিহ্ন স্পষ্ট। কেন মাটি খোঁড়া হয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেনি ওই প্রতিবেশী। তারপরই স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যায়। ওই জায়গায় ফের মাটি খোঁড়া শুরু হয়। তাতেই বেরিয়ে আসে নাবালিকার দেহ।
খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এরপরই পুলিশ সাহানারা লস্কর নামে ওই প্রতিবেশী-সহ দু’জনকে আটক করে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে খুন করা হল নাবালিকাকে? সে বিষয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানা যায়নি। নাবালিকার পরিবারের দাবি, প্রতিবেশীর সঙ্গে নাবালিকার পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ছিল। তার জেরে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর সমস্ত তথ্য সামনে আসবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.