বাবুল হক, মালদহ: মাত্র ৩০ টাকাই বদলে দিল ভাগ্যের চাকা। ম্যাজিক ভ্যানের চালকই এখন কোটিপতি। লটারির টিকিটও যে এভাবে কোনদিন ভাগ্য বদলে দিতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবেননি মালদহের (Maldah) মানিকচক থানার নুরপুর গ্রামের বছর পঞ্চাশের রমজান আলি। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারের সদস্যদের মুখে হাসির ঝিলিক।
মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কে ম্যাজিকভ্যান চালিয়ে পরিবারের খরচ সামলান রমজান। বহু বছর আগে আগ্রাসী গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে ভিটেবাড়ি। সংসার নিয়ে বাঁধের ধারে একটি ঝুপড়িতে বাস করেন রমজান। রাতারাতি বদলে গেল সব কিছু। ম্যাজিক ভ্যানের চালক থেকে এখন কোটিপতি রমজান আলি। লটারিতে প্রথম পুরস্কার জেতার পর রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দিনমজুর। এলাকার দুষ্কৃতীরা তাঁর লটারির (Lottery) টিকিটটি কেড়ে নিতে পারে, এমন আশঙ্কাও ছিল। খবর পেয় বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর বাড়িতে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করেন মানিকচক থানার ওসি কুণালকান্তি দাস। এই ঘটনার জেরে মালদহের মানিকচক থানার নুরপুর এলাকায় এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রমজান আলি ম্যাজিকভ্যানের চালক। তিনি পরিবার নিয়ে নূরপুর গ্রামের রাস্তার ধারে সরকারি খাস জমিতে এক চিলতে চাটাই, টালির ঘরে বসবাস করেন। তাঁর পরিবারে স্ত্রী, চার ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছেন। কোনওরকমে গাড়ি চালিয়ে পরিজনদের দু’মুঠো অন্ন জোগাড় করেন।রমজান আলি বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে গাড়ি ভাড়ার সুবাদে দেড়শো টাকা বকশিস পেয়েছিলাম। সেখান থেকে ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারি টিকিট কেটেছিলাম। বিকেলে সেই লটারি খেলা ছিল। তাতে আমার ভাগ্য বদলে দেবে ভাবতেই পারিনি। নূরপুর স্ট্যান্ডে টিকিট কেটে ছিলাম। বিকেলে ছিল সেই টিকিটের খেলা। পরে ওই দোকানদারই শোরগোল শুরু করে দেয় আমি এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছি।” ভাগ্যের চাকার বদলে খুশি রমজান আলি। নিজের বাড়ি তৈরি করার পাশাপাশি এলাকায় একটি স্কুল তৈরির জন্য দশ লক্ষ টাকা দান করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.