ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাদকাসক্ত এক রোগীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নরেন্দ্রপুর এলাকায়৷ মৃত ব্যক্তির নাম চিন্টু রায়, বয়স ৩৫৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ৷ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মৃতদেহ৷
[ডেঙ্গুর ভয়ে পঞ্চায়েত অফিস থেকে মশা মারার যন্ত্র নিয়ে পালাল চোর!]
জানা গিয়েছে, নিহত চিন্টু রায়ের বাড়ি ঠাকুরপুকুর এলাকায়। নেশা ছাড়ানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার নরেন্দ্রপুরের ‘আশ্বাস’ নামের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র বা হোমে ভরতি করা হয় তাঁকে৷ মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সকালে ওই হোম থেকে হঠাৎই তাঁদের কাছে একটা ফোন যায়৷ বলা হয়, চিন্টুর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের হোমে আসতে৷ খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছান তাঁরা৷ কিন্তু দেখেন ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে৷ মারা গিয়েছেন চিন্টু৷ এরপরই হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মারধর ও গাফিলতির অভিযোগে সরব হন মৃতের বাড়ির লোকজন এবং সোনারপুর থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা৷ অভিযোগ দায়ের করেন ‘আশ্বাস’ নামের নেশামুক্তি কেন্দ্রটির নামে৷ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে নিহত চিন্টু রায়ের দেহ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ যা মারধরের চিহ্ন বলেই অনুমান৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করে বলা যাবে না৷
[রথযাত্রা নিয়ে বেকায়দায় বঙ্গ বিজেপি, সোমবার রাজ্যে আসছেন মোহন ভাগবত]
মৃতের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, চিন্টুর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত ওই হোম কর্তৃপক্ষ৷ চিকিৎসার নামে রীতিমতো মারধর করা হত তাঁকে৷ ওই চিহ্নগুলো সেই মারেরই প্রমাণ এবং সেজন্যই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ মৃতের দাদা জিৎ রায় বলেন, “মারণ নেশার কবল থেকে মুক্তি পাবে ভাই, এই আশা করেই ওকে ভরতি করেছিলাম৷ কিন্তু এমন মর্মান্তিক পরিণতি ঘটবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.