বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: চিনের পাশাপাশি করোনার আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্ব। বাদ নেই এ রাজ্যও। এই পরিস্থিতিতে সুদুর জাপানের ইয়োকোহামায় জাহাজে আটকে নদিয়ার যুবক। জাহাজে থাকা তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে অনেকেই করোনা আক্রান্ত। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে নদিয়ার তাপসকে। দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের।
রানাঘাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাপস দাস নামে ওই যুবক। প্রায় পনেরো বছর ধরে আমেরিকার জাহাজ কোম্পানি অ্যাপেলো শিপে কর্মরত ছিলেন তিনি। কর্মসূত্রে বিভিন্ন দেশে যেতে হত তাঁকে। তবে নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। চলতি সপ্তাহে ফোনে তাপস তাঁর মাকে জানান যে, জাপান যাওয়ার পথে ইয়োকোহামা বন্দরে দাঁড় করানো হয়েছিল তাঁর জাহাজটি। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। তখন জাহাজের ৬০ জনের শরীরে মেলে করোনা ভাইরাস। এরপরই বন্দরে আটকে দেওয়া হয় জাহাজটি। অসুস্থদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র। হোটেলে কার্যত বন্দিদশায় রয়েছেন তাপসবাবু ও অন্যান্য কর্মীরা। কতদিনের জাহাজ ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন তাপসবাবু।
এ বিষয়ে তাপসবাবুর প্রতিবেশী অনিমেষ বলেন, “ফোনে তাপস দার সঙ্গে কথা হয়েছে। ও জাপানে আটকে রয়েছে। তবে কার্যত বন্দি অবস্থায় রয়েছে, কারও সঙ্গে কথাও বলতে বারণ করা হচ্ছে।” ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপসবাবুদের জাহাজ ছাড়া হতে পারে বলেও জানান অনিমেষবাবু। কিন্তু তাপসবাবু সুস্থ থাকলেও খবর পাওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় তাঁর মা, স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবারের সদস্যরা। কতদিনে মুক্ত হবে ঘরের ছেলে, কবেই বা ফিরবে নদিয়ায়, সেই অপেক্ষায় পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, চিন থেকে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। চিনে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত চিনে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৮১৩ জন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.