শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ছেলের স্কুল থাকলে বরাদ্দ তিরিশ টাকা। শনিবার স্কুল বন্ধ, তাই ছেলের জন্য বরাদ্দের তিরিশ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটে ছিলেন পেশায় রঙমিস্ত্রি রমেশ সিং। তাতেই ফিরল ভাগ্য। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন ওই ব্যক্তি।
কোনওদিনই লটারির টিকিট কাটার সেই অর্থে নেশা ছিল না রমেশ সিংয়ের। কিন্তু শুক্রবার সন্ধেয় বাজার করতে বেরিয়ে কী মনে করে লটারির টিকিট কেটে বাড়ি চলে যান জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা রমেশ। তিনি জানান, রাতে পাড়ায় কানাঘুষো শুনছিলেন কোটি টাকার লটারি লেগেছে কারও। পাত্তা না দিয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিবেকানন্দ পল্লির বাজারের লটারি কাউন্টারে টিকিট মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ রমেশ বাবুর। জানান, জীবনে কোনও দিন লটারিতে দশ টাকা পাননি। সেখানে কোটি টাকা। বলেন, “প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি। বারবার নম্বর মেলাই। দেখি সব নম্বর মিলে যাচ্ছে।” বারবার নম্বর মেলাতে দেখে সন্দেহ হয় লটারি বিক্রেতার। নিজে টিকিট চেয়ে নিয়ে মিলিয়ে বলেন, আরে কোটিপতি যে। ততক্ষণে বাজার জুড়ে হইচই।
রমেশ বলেন, “পায়ের তলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছিল। কোনও কথা না বাড়িয়ে বাড়ি চলে যাই। স্ত্রী কে সব কথা খুলে জানাই। খবর পেয়ে ছুটে আসে এক বন্ধু। সে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে থানায় যেতে বলে। কোতোয়ালি থানায় গিয়ে লটারি পাওয়ার কথা জানাই। ডেকে নিয়ে সেলফি ও তোলেন কয়েক জন পুলিশকর্মী।” একেবারে কোটিপতি বলে কথা! কী করবেন এত টাকা দিয়ে? রমেশ জানান, দিনটা আজ বড় প্রাপ্তির দিন। জীবনে কোটিপতি হবেন স্বপ্নেও ভাবেননি। কোটিপতি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটা সুন্দর বাড়ি বানানো আর ব্যবসার পরিকল্পনা মাথায় এসেছে তাঁর। বাকি টাকা ছেলের পড়াশোনা, ছেলের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে চান বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.