সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয় বলতে মাসিক ৭ হাজার টাকা। তা দিয়েই বৃদ্ধা মা, দাদা-দিদি, ভাইপো-ভাগ্নিকে নিয়ে সংসার চলত ডোমজুড়ের শক্তি দাসের (Shakti Das)। কিন্তু এই আয়ে আর সংসারের হাল টানতে পারছিলেন না তিনি। অভাব লেগেই ছিল। কীভাবে আর্থিক সংকট ঘোচানো যায় তা ভেবে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। অবশেষে শুরু করেন লটারির টিকিট কাটা। সেই টিকিটেই কেল্লাফতে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন শক্তিবাবু।
হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের ঝাপড়দহের বাসিন্দা শক্তি দাস। প্রায় ১৪ বছর ধরে একটি ব্র্যান্ডেড কোম্পানির দুধ দোকানে দোকানে সরবরাহ করেন তিনি। মাসিক আয় ৭ হাজার টাকা। তা দিয়ে ৬ জনের সংসার সামলে আর বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি শক্তিবাবুর। ভেবেছিলেন মা, দাদা-দিদি আর তাঁদের সন্তানদের নিয়েই কেটে যাবে। সেভাবেই চলছিল। কিন্তু সামান্য কটা টাকায় আজকাল আর কোনওভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন তিনি। সেই কারণেই উপার্জনের আশায় মাস ছয়েক ধরে লটারির টিকিট কাটা শুরু করেন শক্তিবাবু। মাঝে মধ্যে কপালে কয়েক হাজার জুটেও যায়। ফলে প্রায় নিয়মিতই টিকিট কাটতেন তিনি। সেই মতো শনিবার সকালেও লটারি কাটেন। পরের দিন সকালে রেজাল্ট বের হতেই চক্ষুচড়কগাছ। জানতে পারেন, অবশেষে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি।
এই খবর পাওয়া মাত্রই খুশির আমেজ তৈরি হয় দাস পরিবারে। কোনওদিন যে এমনটাও হতে পারে তা ভাবতেই পারেননি শক্তিবাবু। তাঁর এখন প্রথম লক্ষ্য, দীর্ঘদিনের পুরনো বাড়ি মেরামত করা। বৃদ্ধা মা-সহ পরিবারের বাকিদের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া। তবে নিজের জন্য এখনও কিছুই ভাবেননি তিনি। যদিও শক্তিবাবুর মা চান এবার ছেলে সংসারী হোক, ঘরে আসুক পুত্রবধূ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.