সুমন করাতি, হুগলি: ঠিক ১০ দিন পর মেয়ের বিয়ে। তার আগেই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটালেন বাবা। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রৌঢ়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির (Hooghly) পোলবায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
হুগলির পোলবার আমনান গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর বয়স ৫৩ বছর। ঠিক দশদিন পর তাঁর মেয়ের বিয়ে। প্রস্তুতি মোটের উপর শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ চলছিল। এসবের মাঝেই বুধবার সন্ধেবেলা বাড়ি থেকে বেরন বিশ্বজিৎ ঘোষ। রাতে নিজেই ফোন করেন বাড়িতে। জানান, তিনি আর বেঁচে থাকতে চান না। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তিনি ফোন কেটে দেওয়ার পর একাধিকবার পরিবারের তরফে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি।
সারারাত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও বিশ্বজিতবাবুর কোনও খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। হদিশ না পেয়ে পোলবা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে পরিবার। বুধবার সকালে আমনান গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে সোয়াখালের পাশে একটি গাছে উদ্ধার হয় বিশ্বজিতের ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পোলবা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু কী কারণে আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সব আয়োজন হয়ে গেলেও মেয়ের বিয়ের গয়না কিনতে পারেননি বিশ্বজিৎবাবু। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। তা থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কী না, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মৃতের দিদি জবা ঘোষ বলেন. “ভাইয়ের কোনও সমস্যা ছিল বলে আগে কোনওদিন বলেনি। বিয়ের আর দশদিন বাকি। টাকা পয়সা প্রয়োজন কিনা সেটা জিজ্ঞাসা করায় বলেছিল অসুবিধা হবে না। সব আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করা হয়ে গিয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটাল, তা বুঝতে পারছি না। টাকার অভাব থাকলে বলতে পারত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.