গাড়িতে আগুন। বাড়িতে ভাঙচুর ক্ষুব্ধ জনতার।
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: মাদকের কারবার করেন এলাকার যুবক। অভিযোগে যুবকের বাড়িতে হামলা উত্তেজিত এলাকাবাসীর। ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি, অভিযুক্তের গাড়িও জ্বালিয়ে দেয় স্থানীয়রা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলা-অসম সীমানার পাকরিগুড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত পালতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম প্রসেনজিৎ সরকার। তিনি বেশকিছু দিন ধরে বাড়িতেই হেরোইনের ব্যবসা করতেন বলে অভিযোগ। হাতের কাছে নেশার দ্রব্য পেয়ে স্থানীয় যুবকরা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী। ফলে অনেকের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ। বারবার বারণ করার পরও প্রসেনজিৎ কারবার বন্ধ করেননি বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দার। সেই ক্ষোভে বাড়িতে হামলা চালায় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারবিশা ফাঁড়ির পুলিশ। আশপাশের থানা থেকেও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও মাদক জাতীয় কোনও কিছু পাওয়া না গেলেও একটি পিস্তল জাতীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পিস্তলটি নকল।
স্থানীয় এক বাসিন্দা অরুণ মোদক বলেন, “অনেকদিন ধরে এই ব্যবসা করছে। বারণ করেছি শোনেনি। এলাকার যুবকরা আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এগুলো মেনে নেব না।” প্রার্থনা দাস নামের এক অভিভাবকের কথায়, “আমার ছেলে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি। নেশা ছাড়তে পারছে না। ওর ভবিষ্য়তটা শেষ হয়ে গেল। ব্যবসা বন্ধ করতে হবে, না হলে গ্রাম ছাড়তে হবে।” এদিকে অভিযুক্তের বাবা ব্যবসার কথা কার্যত স্বীকার করে বলেন, “মাস খানেকের উপর থেকে এই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। ছেলে বিক্রি করত ঠিকই। তবে আমি প্রতিবাদ করতাম। এখন আর বিক্রি করা হয় না।” এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে নিষিদ্ধ ড্রাগ আসছে কী করে? বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায়। জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “একটা ঝামেলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.