প্রতীকী ছবি।
সুবীর দাস, কল্যাণী: কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রতিবেশী কাকার বিরুদ্ধে! ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক। খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চাকদহ থানার অর্ন্তগত মদনপুরে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে এলাকায় নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে কয়েকজন কিশোর ও কিশোরীর সঙ্গে খেলা করছিল নির্যাতিতা। সেই সময় পাড়ারই বাসিন্দা সুব্রত হালদার সেখানে যায়। অভিযোগ, অন্যদের ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে সুব্রত ১৩ বছরের ওই কিশোরীর মুখ, হাত চেপে পাশের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতা কোনও রকমে সুব্রতর হাত ছাড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে যায়।
নির্যাতিতাকে কাঁদতে দেখে প্রতিবেশীরা কী হয়েছে জানতে চাইলে, যৌন নিগ্রহের বিষয়টি জানায় কিশোরী। ঘটনা শোনার পর নির্যাতিতার বাবা-মাকে খবর দেন প্রতিবেশীরা। জেলার বাইরে থাকা বাবা-মা ফিরে এসে রাতেই চাকদহ থানায় নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই চাকদহ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির নেতৃত্বে একটি দল অভিযুক্তের বাড়িতে যায়। এই সময় তার বাড়িতে তালা দেওয়া ছিল। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমাদের সবজির ব্যবসা। সেই সূত্রেই জেলার বাইরে ছিলাম। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরি। মেয়ের থেকে বিষয়টি শুনে রাতেই চাকদহ থানায় অভিযোগ জানাই। পুলিশ আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চাই।”
নাবালিকার মা বলেন, “বাচ্চারা খেলছিল, সেই সময় পাড়ার যুবক সুব্রত সবাইকে তাড়িয়ে দিয়ে মেয়ের হাত, মুখ চেপে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করে। ধর্ষণ করারও চেষ্টা হয়। চাকদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.