চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম সোনারুল শেখ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানা এলাকার পারুলিয়ায়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। কী কারণে বোমা বাঁধা হচ্ছিল? ঘটনার সঙ্গে আর কার যোগসাজশ রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম পারুলিয়ার ভরতা এলাকায় দু’টি দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। কার দখলে থাকবে ওই গ্রাম, তা নিয়েই লড়াই লেগেই রয়েছে দুই গোষ্টীর মধ্যে। ফলে মাঝে মধ্যেই বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ-বীরভূমের সীমান্ত লাগোয়া ওই গ্রাম। সেখানে প্রকাশ্যে মজুত থাকত বোমা। গ্রামের মধ্যেই দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর সদস্যরা বোমা বাঁধত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ভোররাতেও গ্রামের মধ্যেই বোমা বাঁধছিল এক দুষ্কৃতী দলের নেতা সোনারুল শেখ। সেই সময় হঠাৎই ৪টি বোমা ফেটে যায়। বিস্ফোরণে তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সোনারুল শেখের। বিকট শব্দে স্থানীয়রা ঘর থেকে বেরিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সোনারুলকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সকালে খড়গ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বোমা বাঁধার সময় সোনারুলের সাগরেদরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। কিন্তু কে কে ছিলেন সেখানে? কেন বোমা তৈরি হচ্ছিল? সে বিষয়ে জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রতিপক্ষ গ্রামে হানা দিতে পারে এমন খবর এসে পৌঁছেছিল সোনারুলের কাছে। সেই কারণে গড় দখলের উদ্দেশ্যেই বোমা তৈরি করছিল সোনারুল। ঘটনার পর থেকেই থমথমে এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.