Advertisement
Advertisement

Breaking News

Explosive

মহেশতলায় বিস্ফোরক ভরতি ব্যাগ-সহ ধৃত এক, খতিয়ে দেখা হচ্ছে জঙ্গিযোগের সম্ভাবনা

ব্যাগ থেকে মোট ১৮ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

A man arrested from Maheshtala with huge ammount of explosive ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 30, 2020 7:30 pm
  • Updated:September 30, 2020 7:30 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্রচুর বিস্ফোরক (Explosive) ভরতি ব্যাগ-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মহেশতলা থানার পুলিশ। ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হলে তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, কোথাও কোনও নাশকতা ঘটানোর ছক করেই ওই বিস্ফোরক পাচার হচ্ছিল কিনা জানতে ধৃতকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যার বা যাদের হাতে ব্যাগটি তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাদেরও পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের ধরন জানতে নমুনা পাঠানো হচ্ছে হায়দরাবাদের ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে।

গোপনে বিস্ফোরক পাচার হচ্ছে এই খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার মহেশতলা (Maheshtala) থানার পুলিশের এক বিশেষ দল মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ ছদ্মবেশে ঘিরে ফেলে সন্তোষপুর স্টেশন সংলগ্ন গোটা বাজার এলাকা। সেখানেই রুকস্যাক কাঁধে এক ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলতেই প্রথমে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিরাট পুলিশবাহিনী ধরে ফেলে তাকে। আটক করে ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। ধৃত স্বীকার করে নেয় তার ব্যাগে ভরতি রয়েছে বিস্ফোরক। ব্যাগটি সন্তোষপুর বাজার এলাকায় পৌঁছে দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল তার। বাজেয়াপ্ত করা হয় রুকস্যাকটি। দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে সাদা, লাল ও হলুদ রঙের পাউডার। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্ফোরক মজুত আইনে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। জানা গিয়েছে, ধৃত সানোয়ার ঘরামী ওরফে পোড়া বাপ্পা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাটের বাসিন্দা। বিস্ফোরক ভরতি ব্যাগটি যার বা যাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মাকে বিষ খাইয়ে পুড়িয়ে মেরেছে’, শিশুসন্তানের বয়ানেই বধূ খুনে ধৃত শাশুড়ি ও স্বামী]

মহেশতলা থানার ভারপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ চন্দন কুসুম দাস জানান, রুকস্যাকে থাকা মোট ১৮ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত সানোয়ারের সঙ্গে ক্যানিং ও সন্তোষপুর এলাকার দুষ্কৃতী চক্রের যোগ রয়েছে। ওই বিস্ফোরক ক্যানিং থেকে ঢাকুরিয়া হয়ে মহেশতলার সন্তোষপুরে কোনও এক বা একাধিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য। কোনও জঙ্গি কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে কোথাও বড় কোনও নাশকতার ছক করেই বিস্ফোরক পাচার হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের প্রকৃতি জানতে হায়দরাবাদের ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তিকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। 

[আরও পড়ুন: একশো দিনের কাজের ৯ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement