দেব গোস্বামী, বোলপুর: কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় ভিনজেলার যুবককে গ্রেপ্তার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ধৃত যুবককে মামন শেখের দলীয় কার্যালয়ে অনেকবার দেখা গিয়েছিল। তিনি উপপ্রধানের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার মূলে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে পুলিশ নিজের পিঠ বাঁচাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম অর্ঘ্য মল্লিক। তিনি নদিয়ার বাসিন্দা। পেশায় রাজমিস্ত্রী। দীর্ঘ দিন বোলপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কয়েকবার তাঁকে উপপ্রধানের কার্যালয়ে দেখা গিয়েছে। কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। তবে ধৃত ব্যক্তি বোমাবাজির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন, পুলিশ নিজের গাঁ বাঁচাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি ভাড়া বাড়ির মালিকের ৷ উপপ্রধান মামন শেখ বলেন, “আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। সেই মত পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশের উপর ভরসা রয়েছেন।”
উপ-প্রধানের বাড়িতে বোমাবাজি নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মামনের বিরুদ্ধে ৫১ সতী পীঠের কঙ্কালীতলা ভাড়া দোকান ঘর দেওয়ার নামে কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন খোদ নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি। এমনকী উপপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি বলেছিলেন, “নিরাপত্তা পেতে নিজের বাড়িতেই বোমাবাজি করিয়েছেন উপপ্রধান।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা অঞ্চল কমিটির সদস্য আলেফ শেখ বলেন, “যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে উপপ্রধানের পার্টি অফিসেই বসে থাকতে দেখা গিয়েছে ৷ এখানেই স্পষ্ট কে বাড়িতে বোমা হামলা করিয়েছে। নিজেই নিজের বাড়িতে বোমাবাজি করিয়েছেন উপপ্রধান।”
১ জানুয়ারি মামন শেখ সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাণ সংশয়ের কথা জানিয়েছিলেন। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। এরপরই ৪ জানুয়ারি উপপ্রধানের লায়েকবাজারের বাড়িতে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। উপ-প্রধানের বাড়ির সিসি ক্যামেরার সেই ছবি ধরা পড়ে। বাড়ির কাছ থেকে একটি তাজা বোমাও উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.