সুমন করাতি, হুগলি: কথায় আছে, ‘অতি চালকের গলায় দড়ি।’ সেই কথাই যেন সত্যি হল। তৃণমূল কাউন্সিলরকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে হাই কোর্টের রায় বিকৃত করার অভিযোগ। হুগলির কোন্নগরের ডিয়লডির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।
ঘটনার সূত্রপাত একটি দোকানঘরকে নিয়ে। হুগলির কোন্নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুভাশিস চৌধুরী বছর কয়েক আগে একটি দোকানঘর ভাড়া নেন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দ চৌধুরীর থেকে দোকানঘরটি ভাড়া নেন। সেই দোকানঘর অবৈধ ভাবে দখল করে রেখে ছিল কাউন্সিলর, অভিযোগ দোকান মালিকের। তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ আইনি টানাপোড়েন চলছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর দোকানের বাইরে ম্যাজিস্ট্রেটের নোটিস লাগিয়ে দেওয়া হয়। দোকানঘরে থাকা সমস্ত মালপত্র বাইরে বের করে দেন দোকান মালিক। সেদিনই পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন কাউন্সিলর।
কাউন্সিলর শুভাশিস চৌধুরীর অভিযোগ, ম্যাজিস্ট্রেটের অর্ডারকে হাতিয়ার করে দোকান মালিক জোর করে দোকান খালি করেছিল। এবং সেই অর্ডারটির অবৈধ। যে দোকানঘর খালি করে দেওয়ার কথা হচ্ছিল সেই দোকানের চাবি মাসকয়েক আগেই তিনি হস্তান্তর করেছিলেন। তারপরেও দোকান মালিক গোবিন্দ চৌধুরী জনসমক্ষে তাঁর সম্মানহানি করছেন বলেই অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতের যে রায় ছিল তাতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেই রায়কে বিকৃত করেন গোবিন্দ চৌধুরী। সে কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও এ বিষয়ে দোকান মালিক গোবিন্দ চৌধুরীর এবং তাঁর পরিজনদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু এভাবে কাউন্সিলরকে কেন হেনস্তা করতে চাইছেন অভিযোগকারী, উঠছে সেই প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.