ছবি: প্রতীকী
নন্দন দত্ত, বীরভূম: ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন বাবা। ফেরার পথে অঝোরে বৃষ্টি। বাড়ি থেকে বেরনোই যেন কাল। ফেরার পথে পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। প্রবল বর্ষণেই পাঁচিল ভেঙে পড়ে বলেই দাবি স্থানীয়দের। বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাবা এবং ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। পরিজনদের হারানোর যন্ত্রণায় কাতর নিহতদের পরিবারের লোকজন।
বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌরভ মণ্ডল। তাঁর ছেলে অনীক মঙ্গলবার সন্ধেয় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তবে রাত বাড়লেও বৃষ্টি কিছুতেই কমছিল না। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে রাত দশটা নাগাদ হাঁটতে শুরু করেন সৌরভ। বাড়ির কাছে পৌঁছনো মাত্রই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি পাঁচিল। তার ধংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে যান রোহিত এবং বছর আটের অনীক।
প্রতিবেশী অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, “রাত ১০.১৫ নাগাদ প্রচণ্ড আওয়াজ পাই। প্রথমে মনে হয় বজ্রপাতের শব্দ। তাই বাইরে দেখতে বেরোই। লোডশেডিং চলায় টর্চ হাতে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখি চাঙড় চাপা পড়ে আছে অনীকের উপর। তাকে উদ্ধার করি। এরপর ধ্বংসাবশেষের একেবারে নিচ থেকে গোঙানি শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি ওই শিশুর বাবা সৌরভও চাপা পড়ে রয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করা হয়।” গুরুতম জখম অবস্থায় ওই দু’জনকেই দুবরাজপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা সৌরভকে মৃত বলে জানান। ওই শিশুর অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শিশুর। বাবা এবং ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। মর্মান্তিক ঘটনায় চোখের জল বাঁধ মানছে না কারও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.