সুমন করাতি, হুগলি: ঠিক যেন সিনেমা! রাস্তায় পুরুষসঙ্গীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল মহিলা। তার পর একের পর এক ছুরির আঘাত। রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেন ব্যক্তি। তাঁকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ছাড়ে দুই মহিলা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে এমনই রুদ্ধশ্বাস ঘটনা। হুগলির ভদ্রেশ্বরের খুঁড়িগাছি ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল। সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুন বলেই মনে করা হচ্ছে।
মৃত তাপস প্রামাণিক, ওই এলাকারই বাসিন্দা। যাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে দেখা গিয়েছে সে শবনম খাতুন। রিষড়ায় স্বামীর সঙ্গে থাকত। দিনকয়েক আগে ভদ্রেশ্বরের খুঁড়িগাছিতে বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানেই তাপস প্রামাণিকের সঙ্গে আলাপ হয়। তাপসের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-র সদ্যই বিচ্ছেদ হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় শবনম ও তাপসের। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে তাপস, শবনম এবং আরও এক মহিলা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। রাস্তার মাঝেই কথা কাটাকাটি হয় তাদের। হঠাৎ করে শবনম তাপসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে। তাতেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তাপস। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পড়েছিলেন তাপস।
খবর পেয়ে অ্যাঙ্গাস ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির। তাঁর দেহ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত হবে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসাপাতালে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সঙ্গে থাকা আর এক মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান,নিজেদের মধ্যে অশান্তির জেরে খুন। স্থানীয় কাউন্সিলর চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ সাউ বলেন, “তাপসের আগের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এখন এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। শুক্রবার বিকাল থেকে নিজেদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। শনিবার ভোররাতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.