মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাড়ি থেকে নিখোঁজ এক ঠিকাদারের রহস্যমৃত্যু। বাগনানের (Bagnan) বাসিন্দা ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। কাঠগড়ায় নিহতের দুই বন্ধু। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। তবে কী কারণে খুন করতে পারে ওই দু’জন সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারছেন না নিহত ঠিকাদারের পরিজনেরা।
নিহত তাপস মান্না বাগনানের মহলা এলাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কর্মী সরবরাহ করার কাজ করতেন তিনি। শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। ওইদিন রাত ১০টা নাগাদ শেষবার পরিজনদের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, তাপস সেই সময় জানান তাঁর বন্ধু সত্যজিৎ ও বিশ্বজিতের সঙ্গে রয়েছেন। শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন বলেও ফোনে জানান তিনি।
তবে বাড়ি না ফেরায় দু্শ্চিন্তা করতে থাকেন পরিজনেরা। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ফোন করা হয় তাপসকে। তবে মোবাইল সুইচড অফ হয়ে যায়। রাতরভর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাপসের। বাধ্য হয়ে রবিবার নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিজনেরা। তারপরই সত্যজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাপসের পরিজনেরা। তিনি জানান, তাপস হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি। তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছন পরিজনেরা। চিকিৎসকদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় তাপসের ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে।
কেন হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করানো হল তাপসকে, নিহতের পরিজনেরা সত্যজিতকে সে প্রশ্ন করেন। সত্যজিতের দাবি, উলুবেড়িয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অচৈতন্য অবস্থায় তাপসকে পড়ে থাকতে দেখে সে। কোনওক্রমে বন্ধুকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করে সে। ব্যস্ততায় পরিজনদের কাউকে খবর দেওয়া হয়নি বলেও যুক্তি খাড়া করে সত্যজিৎ। তাপসের পরিজনেরা যদিও সে যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, তাপসের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। খুন (Murder) করা হয়েছে তাকে। খুনের ঘটনায় সত্যজিতের যোগসাজশই দেখছেন তাপসের পরিজনেরা। কেন উলুবেড়িয়ার কোনও হাসপাতালে ভরতি না করে তাপসকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হল, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বাগনান থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.