ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রীর মুখে ঢোকানো ভাঙা মদের বোতল। স্ত্রীর পালিত বাবার যৌনাঙ্গ কাটা। নৃশংসভাবে স্ত্রী এবং শ্বশুরকে খুন করে পালাল জামাই। শনিবার সকালে এই জোড়া খুনের ঘটনার সাক্ষী সোনারপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষগ্রামের সুকান্ত সরণি। রক্তাক্ত মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার হয়েছে বাড়ি থেকেই। রক্তমাখা জামাকাপড় বাথরুমে খুলে বাড়ি থেকে পালায় অভিযুক্ত জামাই।
বছর পঁচাত্তরের বাসুদেববাবু শিশু সাহিত্য সংসদে কাজ করতেন। নিজে বিয়ে করেননি। সুনীতাকে পালন করেন। ৫ বছর আগে রমেশ পণ্ডিত নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেন। সাড়ে ৩ বছরেরে একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। বেশ কয়েকমাস হল রমেশ এবং তার মা সুনীতার বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল। ইদানীং সুনীতা এবং রমেশের মধ্যে নানা কারণে গোলমালও চলছিল। প্রায়ই স্ত্রীকে এবং তাঁর পালিত বাবাকে মারধর করতে শুরু করেছিল গুণধর জামাই। সোনারপুর থানায় এই নিয়ে অভিযোগও করেন স্ত্রী সুনীতা। স্থানীয় মানু্ষের কাছেও তাঁরা অভিযোগ জানান। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়ছিল।
এরপর শনিবার সকালে এক প্রতিবেশী ওই বাড়িতে ফুল তুলতে যান। তিনিই দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ঘরের মেঝেতে এবং বিছানায় পড়ে রয়েছে দু’জনের রক্তাক্ত দেহ। সুনীতাকে ঘরের মেঝেতে মদের ভাঙা বোতল দিয়ে গলায় আঘাতও করা হয়। দেহে মিলেছে গভীর ক্ষতচিহ্ন। আর তাঁর পালিত বাবাকে পাওয়া গিয়েছে বিছানায়। একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে তাঁর শরীরেও। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাসুদেববাবুর যৌনাঙ্গও কাটা হয়।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে। জেলার পুলিশ আধিকারিক রশিদ মুনির খান জানান, দু’জনকেই খুন করা হয়েছে। খুনি রক্তমাখা জামাকাপড় বাথরুমে ছেড়ে রেখে পালিয়েছে। মৃত সুনীতার সন্তানের বয়ানও নিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, জামাই খুন করে পালিয়েছে। তার খোঁজ চলছে। কী কারণে খুন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.