Advertisement
Advertisement

Breaking News

Man allegedly killed his sister in law

বাড়ি থেকে উদ্ধার শ্যালিকার রক্তাক্ত দেহ, খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, গ্রেপ্তার ভগ্নিপতি

বিধবা ওই মহিলা বাবার সঙ্গে হৃদয়পুরে থাকতেন।

A man allegedly killed his sister in law in Barasat । Sangbad Praidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 7, 2021 10:00 am
  • Updated:September 7, 2021 10:11 am  

অর্ণব দাস, বারাসত: স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করে ধারাল অস্ত্র হাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ভগ্নিপতি। বেলা বাড়তেই খবর আসে নিজের বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শ্যালিকা। প্রতিবেশীদের দাবি, এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ভগ্নিপতি ওই মহিলার বাড়িতে এসেছিল। দু’য়ে দু’য়ে চার করতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি কাউকেই। গা ঢাকা দিয়েও রক্ষা পেল না অভিযুক্ত। অবশেষে গভীর রাতে মছলন্দপুর থেকে শ্যালিকাকে খুনের (Murder) অভিযোগে গ্রেপ্তার ভগ্নিপতি। কী কারণে একাকী বিধবা মহিলা খুন হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুর (Hridaypur) আপনপল্লির বাসিন্দা জ্যোতিষচন্দ্র দাসের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে শম্পা সরকার এবং ছোট মেয়ে স্বপ্না সাহা। স্বামীর মৃত্যুর পর বড় মেয়ে শম্পা তাঁর বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে থাকতেন। তিনি এক প্রসাধনী সংস্থার কর্মী ছিলেন। ছোট মেয়ে স্বপ্না সাহা থাকেন হৃদয়পুর রামকৃষ্ণপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে স্বপ্নার সঙ্গে চরম অশান্তি হয় তাঁর স্বামী পেশায় ফুচকা বিক্রেতা জয়দেব সাহার। এরপরেই জয়দেব বাড়ি থেকে দা নিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘন্টাখানেক বাদে মৃতার প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্বপ্না জানতে পারেন খুন হয়েছেন তাঁর দিদি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দলে যোগ্যদের মর্যাদা দিতে হবে’, টিম পিকের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুব্ধ’ সাংসদ Kalyan Banerjee]

স্বপ্না সাহা বলেন, “দু’দিন ধরেই পারিবারিক কারণে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল। এদিন দুপুরে অশান্তি হলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু কোথায় গিয়েছিল তা বলতে পারব না। ফোন করেও স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছিল না।” দিদি কি কারণে খুন হল, কে খুন করল এবিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। দিনেদুপুরে খুনের ঘটনার সময় আপনপল্লির বাড়িতে ছিলেন বৃদ্ধ বাবা জ্যোতিষচন্দ্র দাস। এদিন তিনি বলেন, “বেলা ১২টা নাগাদ স্নান করে দোতলায় ঠাকুর ঘরে যাই। দুপুর দেড়টার পর নিচে নেমে দেখি বড় মেয়ের ঘরের দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে দেখতে পাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শম্পা। এরপরই প্রতিবেশীদের ঘটনাটি জানাই।” পুজো দেওয়ার সময় বাড়িতে কেউ এসেছিল কিনা তা বিন্দুমাত্র টের পাননি বলে দাবি মৃতার বাবার। 

ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই বিধবা মহিলাকে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এই খুনের ঘটনায় তাঁর বোনের স্বামী জয়দেব সাহাকে সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কি কারণে ওই মহিলাকে খুন করা হল, পুলিশ স্পষ্ট করে তা জানাতে পারেনি। পারিবারিক কিংবা সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

[আরও পড়ুন: বকখালিতে নদীর চরে ভেসে এল বিশালাকৃতির মৃত প্রাণী, ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি স্থানীয়দের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement