সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পরিবারের অমতে প্রেমিককে বিয়ে করেছিল মেয়ে। কিছুতেই তা মানতে পারেননি বাবা। সেই কারণেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও মেয়ে-জামাইকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই তরুণীর অভিযোগ, এবিষয়ে একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
বর্ধমানের রায়নার (Rayna) বাসিন্দা সৈকত দাস ও রানি আঢ্য। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁদের। কিন্তু রানির পরিবার কোনওদিনই সৈকতকে মেনে নেয়নি। পরে চলতি বছরের ১০ মার্চ রেজিস্ট্রি করে ওই যুগল। সৈকতের পরিবার তরুণীকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনেও নেয়। কিন্তু পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী অশোক আঢ্য কৃষক পরিবারে মেয়ের বিয়ে কিছুতেই মানতে পারেননি। অভিযোগ, ১৩ মার্চ মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালায় সে। বাড়ির দরজা ভেঙে সৈকতের মা তনুশ্রী দাসকে মারধর করে। স্বামীকে নিয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচান রানি। এরপরই গোটা ঘটনাটি জানিয়ে রায়না থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তনুশ্রীদেবী। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তবে লকডাউনে চুপচাপই ছিল অশোক।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ফের অশোক আঢ্য এলাকার বেশ কিছু সমাজবিরোধীকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালায়। রানি আঢ্য দাসের কথায়, “বাবা গুন্ডা নিয়ে এসে কাল রাতে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করেছে আবার। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরে দেবে বলেও হুমকি দিয়ে গিয়েছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। আমার শ্বশুরবাড়িতে দাঁড়িয়েই বাবা বলেছে, পুলিশ টাকার দাস। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে তোরা কিছুই করতে পারবি না।” সবমিলিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দাস পরিবার। এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও উত্তরই দেননি অশোক আঢ্য। এপ্রসঙ্গে বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। তাই তাঁদের আলাদা করতে কেউ পারবে না জোর করে।” যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর শ্বশুরবাড়ির তরফে শেষ যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.