শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: স্ত্রীর মর্যাদা পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন এক মহিলা। তনুশ্রী পান্ডা ধাড়া নামে ওই মহিলার দাবি, বছর দুই আগে শাস্ত্র মতে তাঁদের বিয়ে হয়। তবে তাঁকে বাড়িতে তুলতে নারাজ স্বামী আকাশ ধাড়া। বুধবার ঘাটাল শহরের কোন্নগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আকাশ ধাড়ার বাড়ির দরজার সামনে সকাল ১০টা থেকে ধরনায় বসেছিলেন তনুশ্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘাটাল (Ghatal) থানার পুলিশ। তনুশ্রী ও আকাশকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁদের দু’জনকে পাশাপাশি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তনুশ্রীর বাপের বাড়ি দাসপুরের গোপালপুরে। তাঁর দাবি , স্কুল জীবন থেকে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। আকাশের বাবা ঘাটাল শহরের কোন্নগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী কানন ধাড়া। প্রেমের সম্পর্ক মানেননি কাননবাবু। তাই আকাশ এবং তনুশ্রী পরিবারকে না জানিয়ে গত ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর শাস্ত্রমতে বিয়েও করেন। এমনকী আইনি বিয়ের জন্য আবেদনও করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আইনি বিয়ে হয়নি তাঁদের। তনুশ্রী বলেন, “বিয়ের সময় আকাশের দিদি, জামাইবাবুও উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর আকাশ আমাদের বাড়িতেই ছিল। সহবাসও হয়েছে। লকডাউনের সময়ও আমাদের বাড়িতে ছিল। ওর নিজের বাড়িতেও যাতায়াত করত। আমাকে ওঁর বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে বারবার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। মাসখানেক আগে সে নিজের বাড়িতে চলে আসে। আর কোনও যোগাযাগ রাখেনি। এমনকি ফোনও করেনি। তাই আমি স্ত্রীর দাবি নিয়ে ওর বাড়িতে এসে ধরনায় বসেছি। এখন ও আমাকে অস্বীকার করছে। বিয়ের যাবতীয় প্রমাণপত্র আমার কাছে আছে।”
পুলিশকে বিয়ের ছবি, আইনি বিয়ের আবেদন পত্র দেখিয়েছেন তনুশ্রী। আকাশের দাবি,“ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোর করে ওঁর বাড়ির লোক বিয়ে দিয়েছিল। ওর সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার সম্বন্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে ওই মেয়েটি।” তাহলে গত দুই বছর কোনও আইনি সাহায্য নিলেন না কেন ? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি আকাশ। এদিকে তনুশ্রীর সাফ কথা, “আমার অধিকার আদায়ের জন্য আমি এই বাড়ির দরজায় আমৃত্যু ধরনায় বসেছি। আমি মিথ্যা কথা বলছি না।” পুলিশ দু’জনকেই আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ঘাটালে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.