সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: তামিলনাড়ুতে কাজ করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল পুরুলিয়ার এক শ্রমিকের। গত রবিবার সন্ধেয় তামিলনাডুর কোয়েম্বাটোরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই শ্রমিকের গলা কাটা দেহ। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। যদিও তামিলনাড়ু পুলিশের তরফে আত্মহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম ভেটু বাউরি। পুরুলিয়ার রাঘবপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক। গ্রামে দিন মজুরের কাজ করতেন তিনি। বছর দুয়েক আগে পেটের টানে কোয়েম্বাটোরে পাড়ি দেন। সেখানে একটি সুতো কলে কাজ করতেন ভেটু। পুজোর সময় ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন তিনি। প্রায় দুমাস গ্রামের বাড়িতেই ছিলেন। গত শুক্রবার কোয়েম্বাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভেটু। রবিবার সকালে তিনি সেখানে পৌঁছে বাড়িতে খবর দেন। এরপর সন্ধেবেলা কোয়েম্বাটোর থেকে তার বাড়িতে খবর আসে যে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। জানা যায়, ঘর থেকে ওই যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে শ্রমিকের পরিবার।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, দেহ উদ্ধারের পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশায় তাঁরা। ঠিক কী হয়েছে তাও জানেন না। এমনকী ঘটনার দুদিন পরও দেহ পৌঁছয়নি গ্রামে। দেহ ফেরানোর জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাও তাঁদের জানানো হয়নি। তামিলনাড়ু পুলিশের তরফেও যোগাযোগ করা হয়নি এরাজ্যের পুলিশের সঙ্গে। এরপর বাধ্য হয়ে পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ উন্নয়ন সমিতির সহযোগিতায় চাঁদা তুলে ওই শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে আসতে মঙ্গলবার সকালে কোয়েম্বাটুর রওনা দেন কয়েকজনের এক প্রতিনিধি দল। কলকাতা থেকে বিমানে কোয়েম্বাটোর পৌঁছন তাঁরা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে ভেটুকে। কিন্তু তামিলনাড়ু পুলিশ একটি আত্মহত্যার মামলা রুজু করেছে। পুরুলিয়া মফস্বল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়টি তারা শ্রমিকের পরিবারের তরফে জানলেও তামিলানাড়ু পুলিশ থেকে এখনও তাদের কাছে কোন খবর আসেনি।
ছবি: সুনীতা সিং
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.