ফাইল ছবি।
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি চলাকালীন গড় শালবনিতে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা কনভয়ে হামলা। ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল আগেই। তবে এবার বীরবাহা হাঁসদার চালকের দায়ের করা মামলা-সহ আরও দু’টি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে ঝাড়গ্রাম থানায়। ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ফলে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯জন।
গত ২৬ মে, গড় শালবনিতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে কুড়মিরা বিক্ষোভ দেখায় বলেই অভিযোগ। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-সহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে লক্ষ্য করে ইট ও পাথরবৃষ্টি চলে। তাতে বীরবাহার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। তাঁর চালকের চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। এছাড়াও অল্পবিস্তর জখম হন বেশ কয়েকজন। এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় অভিষেকের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কুড়মির বিবৃতির দাবিও জানান তিনি। অভিষেকের কথা মতো হামলার মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন কুড়মিরা। জানিয়ে দেন এই হামলার সঙ্গে তাঁরা কোনওভাবেই জড়িত নন। ঘটনার সমালোচনাও করেন।
তারপর থেকেই শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। একে একে গ্রেপ্তার হন রাজেশ মাহাতো, শিবাজি মাহাতো, রাকেশ মাহাতো ও অনুভব মাহাতো নামে চার কুড়মি নেতা। গত শনিবার আরেক কুড়মি নেতা অনুপ মাহাতো-সহ চারজন গ্রেপ্তার হন। রবিবার রাতে নিশিকান্ত মাহাতো নামে আরও একজন গ্রেপ্তার হন। তার ফলে মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জন। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এদিকে, তদন্তভার নেওয়ার পরই সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম থানায় পৌঁছন সিআইডি আধিকারিকরা। কনভয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.