আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছিল। শেষপর্যন্ত বাড়ি থেকে এক প্রৌঢ়ের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাকপুরের মণিরামপুরে।
মৃতের নাম কমল দাস। টিটাগড়ের একটি জুটমিলে চাকরি করতেন তিনি। বারাকপুরের মণিরামপুরের গোয়ালাপাড়ায় একটি বাড়িতে একাই থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন এলাকায় কমলকে দেখেননি তাঁরা। বাড়ির দরজায় তালা লাগানো ছিল। তবে যে সাইকেলে চেপে কাজে যেতেন ওই প্রৌঢ়, সেই সাইকেলটি বারান্দায় দাঁড় করানো ছিল। এমনকী, কমল দাসের বাড়িতে আলো জ্বলতেও দেখেছেন অনেকেই। প্রথমে বিষয়টি তেমন আমল দেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। ভেবেছিলেন, হয়তো বাড়ি তালাবন্ধ করে অন্য কোথাও গিয়েছেন কমল। কিন্তু, ভুল ভাঙে বুধবার রাতে। এগারো নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, কমল দাসের বাড়ির দরজা হাট করে খোলা এবং বাড়িতে যথারীতি আলো জ্বলছে। আর মেঝেতে কমল দাসের গলার নলিকাটা দেহ পড়ে রয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বারাকপুরের মণিরামপুরের গোয়ালাপাড়ায়। খবর পেয়ে রাতেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় বারাকপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি মদের বোতলও উদ্ধার হয়েছে। এমনকী, ঘরটিও লন্ডভন্ড অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু, বাড়িতে ঢুকে কে বা কারা খুন করল কমল দাসকে? কেনই বা খুন হতে হল তাঁকে? মৃত কমল দাসের মামাতো ভাই অভিজিৎ মজুমদার উত্তর দমদম পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, লুটপাটের উদ্দেশ্যে ওই প্রৌঢ়কে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। তবে যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতলও পাওয়া গিয়েছে, তাই মদের আসরে বচসার কারণে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। কমল দাসের কাছে হয়তো কোনও মূল্যবান সামগ্রী ছিল, তা লুট করতে এসে তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখছে বারাকপুর থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.