Advertisement
Advertisement
জওয়ান

দেশরক্ষার স্বীকৃতিতে জাতীয় পুরস্কার, গ্রামে ফিরে আবেগতাড়িত নদিয়ার জওয়ান

আক্ষেপ একটাই, ছেলের এই সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না বাবা।

A Jawan from Nadia wins National level award for outstanding work
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:August 20, 2019 5:47 pm
  • Updated:August 20, 2019 5:48 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট:  ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী। স্বভাবেও ডাকাবুকো। দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশবাহিনীতে নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ এবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের মনোনীত হয়েছেন ITBP বা ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের ডিআইজি ভবতোষ সিং। রবিবার নদিয়ার তেহট্টের গ্রামে বাড়িতে এসে বৃদ্ধা মাকে সুখবর দিলেন তিনি। স্কুলের প্রাক্তন কৃতী ছাত্রকে সোমবার সংবর্ধনাও দিলেন স্থানীয় নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

[আরও পড়ুন:‘দিঘায় হবে মন্দির-মসজিদ-গির্জা’, ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র তৈরির ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর]

নদিয়ার প্রান্তিক এলাকা তেহট্ট। সেই তেহট্টের গড়াইমারি গ্রামের এক কৃষক পরিবারের সন্তান ভবতোষ সিং। তাঁর কৈশোর, এমনকী যৌবনেও গ্রামে প্রায় কিছুই ছিল না। রোজ এক কোমর কাদা পেরিয়ে যেতে হয় স্কুলে। তবে বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিলেন বর্তমানে ITBP-র শীর্ষ এই পদাধিকারী। গ্রামে যে স্কুলের পড়াশোনা করেছেন, সেই নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন ভবতোষ সিং। প্রাক্তন ছাত্র সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে উচ্ছ্বাস চেপে রাখলেন না ওই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। জানালেন, ছোট থেকে পড়াশোনায় অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন ভবতোষবাবু। অনর্গল কথা বলতে পারতেন ইংরেজিতে। এ ছেলে যে জীবনে বড় কিছু করবে, তা তখনই টের পেয়েছিলেন  ভবতোষের শিক্ষকরা। বাস্তবে হয়েছেও তাই।  

Advertisement

কলেজের পাঠ চুকিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি করেছেন ভবতোষ সিং। শেষপর্যন্ত ১৯৮৯ সালে থিতু হন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চাকরিতে। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধাপে ধাপে উন্নতি করেছেন পেশাগত ক্ষেত্রে। এখন ITBP বা ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের ডিআইজি পদে কর্মরত ভবতোষ সিং। গত ১৫ আগস্ট নিজের দপ্তর থেকে জানতে পারেন, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশবাহিনীতে ভাল কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

আগামী অক্টোবর মাসে দিল্লিতে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই আনন্দের খবর বৃদ্ধা মাকে জানাতেই তেহট্টের গড়াইমারি গ্রামে এসেছিলেন ভবতোষবাবু। মায়ের পায়ে হাত দিয়ে নিলেন আশীর্বাদ। আক্ষেপ একটাই, তাঁর এই সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না বাবা!

[আরও পড়ুন: জেলা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারির যোগদান ঘিরে মতানৈক্য, থমকে নদিয়ার প্রশাসনিক কাজ]

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement