সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন, তা বুঝতে পেরেছিলেন স্বামী। তাতে বাধা দিয়েছিলেন। আর তার ফল হল মর্মান্তিক। স্বামীকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অবশ্য প্রেমিকের সহযোগিতায় গৃহবধূ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ। ক্যানিংয়ের তালদির উত্তর রাজাপুরের ঘটনায় মনুয়া কাণ্ডেরই ছায়া দেখছেন স্থানীয়রা।
ক্যানিংয়ের তালদির উত্তর রাজাপুরের বাসিন্দা বছর বত্রিশের হরিদাস গায়েন। শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন, বাড়ির সামনে একটি গাছ থেকে হাত, মুখ বাঁধা অবস্থায় ঝুলছেন তিনি। কাছে গিয়ে সকলে বুঝতে পারেন মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হরিদাসের দেহ উদ্ধার করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। হরিদাসের স্ত্রী অর্চনা এবং তার প্রেমিক শংকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। এদিন সকাল থেকেই বেপাত্তা দু’জনেই।
পরিবার সূত্রে খবর, হরিদাসের বিয়ে হয়েছে প্রায় এক যুগ আগে। হরিদাস এবং অর্চনার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। পরিজনদের দাবি, আগে দাম্পত্য সম্পর্কে কোনও অশান্তি ছিল না। তবে ইদানীং ওই দম্পতির মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। তার কারণ হিসাবে হরিদাসের পরিজনেরা অবশ্য অর্চনার পরকীয়া সম্পর্ককে দায়ী করেছেন। এলাকারই বাসিন্দা শংকর মিস্ত্রি নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল অর্চনা। তা জানতে পেরে যান হরিদাস। স্ত্রীর পরকীয়া মানতে পারেননি তিনি। দু’জনের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন তিনি। প্রেমের পথে কাঁটা সরাতে প্রেমিকের সহযোগিতায় অর্চনা স্বামীকে খুন করেছে বলেই অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
তবে হরিদাস আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাবে না বলেই দাবি পুলিশের। তবে পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে পুলিশ হরিদাসের স্ত্রী অর্চনা এবং তার প্রেমিক শংকরের খোঁজ চালাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.