শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্ত্রীকে খুন করে মাটির নীচে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা ভেবেছিল দেহ লোপাট করতে পারলেই নিষ্কৃতি পাবে তারা। তবে মাটির নীচ থেকে একটি হাত উঁকি মারতেই জানাজানি হয়ে গেল গোটা ঘটনা। ভয়ংকর এই ঘটনার সাক্ষী উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের মহিপুরের হাটখোলা জগদীশপুর গ্রাম।
বেশ কয়েক বছর আগে মহম্মদ হানিফ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় অলিফা পারভিন নামে তরুণীর। হানিফ বাড়ি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের কাজ করত। এছাড়াও মহিপুরের হাটখোলায় তার নিজস্ব হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে। তার পরিবারের সকলেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশাও করে। তবে দিনদুয়েক ওই পরিবারের কাউকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে তাই বাড়ির চৌহদ্দির ভিতরে ঢোকেন এক প্রতিবেশী। মাটির রান্নাঘরের খোলা দরজা দিয়ে ভিতরে দৃষ্টি যেতেই অবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন, মাটির তলা থেকে উঁকি দিচ্ছে মহিলার হাত। প্রতিবেশীর চিৎকারে ততক্ষণে অবশ্য এলাকার বেশিরভাগ মানুষ জড়ো হয়ে গিয়েছেন।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হেমতাবাদ থানার পুলিশ। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় মহিলার দেহ। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, সেটি ছিল গৃহবধূ অলিফার দেহ। তাঁদের অভিযোগ, সংসার সচ্ছল হলেও অলিফার বাপের বাড়ির কাছ থেকে প্রায়শই টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত হানিফ। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে সে কারণেই খুন কি না, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অলিফার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দু-একদিন আগেই খুন করা হয়েছিল অলিফাকে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ লোপাটের জন্য রান্নাঘরে মাটি খুঁড়ে দেহ চাপা দেওয়া হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কীভাবে খুন হয়েছে তা নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাবে না বলেই দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.