ধীমান রায়, কাটোয়া: শ্বাসকষ্টে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমান (Purba Burdwan) জেলার কেতুগ্রাম ব্লক হাসপাতলে। বুধবার রোগীর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা তাণ্ডব চালায় হাসপাতালে। মারধর করা হয় কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ও নার্সকে। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। শেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের বাসিন্দা চয়ন শেখ নামে ওই রোগীকে বুধবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল রোগীর। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করার পরই তাঁকে বর্ধমান হাসপাতলে রেফার করে দেন। যেহেতু রোগীর করোনার প্রাথমিক উপসর্গ ছিল, তাই তাকে বর্ধমানে পাঠানোর জন্য বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। অ্যাম্বুল্যান্স আসতে খানিকটা দেরি হয়। ওদিকে পরিবারের লোকজনও ভাড়া গাড়ির ব্যবস্থা করতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতেই রোগীর মৃত্যু হয়।
অভিযোগ, এরপরই কেতুগ্রামের বেঙুটিপাড়া ও হাজামপাড়া এলাকার প্রচুর লোক হাসপাতালে জড়ো হন। দুই শতাধিক পুরুষ ও মহিলা চড়াও হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত নার্স আসপিয়া খাতুন বলেন, “ওই রোগীর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা ছিল মাত্র ৪৬। হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা হয়েছিল। অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছিল। তাতে স্যাচুরেশন মাত্রা কিছুটা বাড়ে। ডাক্তারবাবু রেফার করার পর রোগী মারা যান। তারপর অনেক লোকজন এসে হামলা চালায়।” এদিকে খাস কলকাতার লেকডাউন এলাকায় এদিন অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে এক করোনা আক্রান্তের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.