Advertisement
Advertisement

Breaking News

বেআইনি অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে ধৃত কলকাতা পুলিশের হোমগার্ড

বেআইনি অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ, এবার জালে কলকাতা পুলিশের হোমগার্ড

জেরায় বড়সড় অস্ত্রপাচার চক্রের হদিশ মিলবে বলে ধারণা পুলিশের।

A home guard of kolkata police arrested for selling weapon.

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 24, 2020 7:16 pm
  • Updated:January 24, 2020 7:16 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: থানার মালখানা থেকে বন্দুক পাচারের অভিযোগে দিন কয়েক আগেই এক সাব ইন্সপেক্টরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবার বেআইনি অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার কলকাতা পুলিশের এক হোমগার্ড। ধৃতের নাম বাপন কর্মকার। গোপালনগর থানার ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। সে কলকাতা পুলিশের অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরে কর্মরত। তাকে জেরা করলে বড়সড় অস্ত্রপাচার চক্রের হদিশ মিলবে বলেই মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনা বেশকিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কোনও অস্ত্র তৈরির কারখানার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে নাকি কোনও থানার মালখানা থেকে অস্ত্র পাচার করছে বাপন, জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।    

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ জানুয়ারি গোপালনগর থানার ভবানিপুরের সৌমিক মণ্ডল নামে যুকককে অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ এরপর তারে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। জেরায় সৌমিক জানায়, বাপন মণ্ডলের কাছ থেকে সে অস্ত্র কিনেছিল। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাপনকে খুঁজছিল গোপালনগর থানার পুলিশ।এরপর শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী সমির দাস বলেন, “বাপন সৌমিককে অস্ত্র বিক্রি করেছিল। সেই কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বিচারক তার তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।” পুলিশের তদন্ত নেমেছে। ধৃতকে জেরা করে সে  কোথা থেকে অস্ত্র আনত, কাদের বিক্রি করত সেসব জানার চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : সামুদ্রিক মাছ নয়, করোনা ভাইরাসে সর্পযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কেউটে-কালাচে আতঙ্ক]

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মালখানা থেকে অস্ত্র পাচার করে পুলিশের জালে ধরা পড়ে জামবনির এক সাব ইনসপেক্টর-সহ মোট চারজন। বাকি তিনজন অবশ্য পুলিশ কর্মী নয়।জামবনি থানায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর তারাপদ টুডু আগে লালগড় থানায় কর্মরত ছিলেন। থানার মালখানার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ বেশ কিছু একনলা বন্দুক ওই মালখানায় রাখা ছিল। এমনকী মাওবাদীদের থেকে বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্রও লালগড় থানায় রাখা ছিল। বাজেয়াপ্ত হওয়া অস্ত্রের হিসাবও রাখতেন তারাপদ। তাই ধীরে ধীরে অস্ত্র পাচার হয়ে যাওয়ার পরও কেউ জানতে পারেননি। তবে সম্প্রতি চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement