ফাইল ছবি।
বাবুল হক, মালদহ: এবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Malda Medical College & Hospital) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এক রোগী ভাঙা পা নিয়ে প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন। কিন্তু চিকিৎসা পাননি। কারণ, তিনি এইচআইভি আক্রান্ত। বাধ্য হয়ে চিকিৎসার দাবিতে জেলাশাসকের মারফত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন ওই রোগীর পরিবার। সূত্রের খবর, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, মালদহের ইংরেজবাজারের মাধবনগর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। পেশায় রংমিস্ত্রি তিনি। মে মাসে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের তিনতলায় উঠে কাজ করছিলেন। সেই সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হন তিনি। ডান পা ভেঙে যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার পর চিকিৎসকরা জানায়, তাঁর ডান পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হবে। নিয়ম মেনে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তখনই জানা যায়, ওই ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভ। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির পরিবারকে জানায়, তাঁদের পক্ষে ওই রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। কারণ, পরিকাঠামো নেই। তখন ওই রংমিস্ত্রিকে ভরতি করা হয় মালদহ মেডিক্যালে।
পরিবারের অভিযোগ, জুন মাসে ওই ব্যক্তিকে ভরতি করা হলেও এইচআইভি সংক্রমণের কারণে এখনও তাঁর অস্ত্রোপচার করেনি হাসপাতাল। কার্যত বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালে রয়েছেন ওই রোগী। ফলে বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যক্তির পরিবার। এবিষয়ে হাসপাতালের অধ্যক্ষ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনা শুনে তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “বিনা চিকিৎসায় এই রাজ্যে কেউ মারা যাবে না। এটা সরকারের ঘোষিত নীতি। ওই রোগীর যা চিকিৎসা করানো সম্ভব, তা সম্পূর্ণ করানো হবে। শাসকদল ও সরকার ওনার পাশে রয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.