সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘটনাটা ২০১১ সালের৷ ঘটনাটা উত্তরবঙ্গের৷ দার্জিলিংয়ের ভৌতিক কাণ্ডকারখানার ব্যাপার এখন বোধহয় কারও অজানা নেই৷ কিন্তু দার্জিলিং যাওয়ার পথেও যখন অশরীরীর দেখা মেলে তখন ঠিক কেমন অনুভূতি হয়?
কলকাতার বাসিন্দা অভিনব (নাম পরিবর্তিত) জানিয়েছেন এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা৷ পুজোর ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে দার্জিলিংয়ে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন অভিনব৷ পরিবারের সঙ্গে শিয়ালদহ থেকে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসে দার্জিলিংয়ের পথে রওনা দেন তিনি৷
কিন্তু বিপদ কি আর বলে আসে?
ট্রেনে চলতে শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক আত্মীয়ের ফোনে অভিনব জানতে পারেন কিষানগঞ্জে ১৯টি তেলের ট্যাঙ্কার লাইনচ্যুত হয়েছে৷ প্রায় ৩৪ ঘণ্টা অভিনব এবং ট্রেনের বাকি যাত্রীরা ট্রেনে আটকে ছিলেন৷ ট্রেনটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক একটি স্টেশনে দাড়িয়ে থাকত৷ এরকম অস্বস্তিকর পরিবেশে একটা সময়ে ট্রেনের এসি পর্যন্ত কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়৷ গরমে একপ্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন যাত্রীরা৷ এমনই সময় দ্বিতীয় দিন রাতে ক্লান্ত অভিনব একটু হাওয়া খাওয়ার জন্যই ট্রেনের দরজা খুলে বাইরে মুখ বাড়িয়েছিল৷ সেই সময় ফোনে টাওয়ার ধরেছিল ‘গাইসাল’৷ সেই গাইসাল, যেখানে ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷ যেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ২৯০ জন মানুষ৷ যদিও তখনও অভিনব জানতেন না সেই দুর্ঘটনার কথা৷ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কেবলই একটু হাওয়া খাওয়া৷ কিন্তু ট্রেনের দরজার দিকে মুখ বাড়ানোর সময়ই ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করে৷ আর তাই দরজা বন্ধ করে নিজের সিটে ফিরছিলেন অভিনব৷ কিন্তু যেই ফিরবেন বলে মুখ ফিরিয়েছেন, তিনি লক্ষ্য করলেন চোখের সামনে কেউ একজন দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় আচমকা মিলিয়ে গেলেন৷
এই ঘটনার কোনও যুক্তি খুঁজে পাননি অভিনব৷ কিন্তু সারারাত ঘুমোতেও পারেননি তিনি৷ এরপর দার্জিলিংয়ে মামাবাড়িতে এসে ইন্টারনেট সার্ফিং করে তিনি সেই গাইসাল দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন৷ কিন্তু হঠাৎ দেখা যাওয়া সেই ছায়ামূর্তিটি কে ছিল তার খোঁজ আজও জানতে পারেননি অভিনব৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.