শুভময় মণ্ডল: ছোট থেকেই দৃষ্টিহীন। তাই স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখতে পারছেন না কৃষ্ণনগরের শিবানী। কিন্তু মায়ের কাছে শুনেই অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাই শনিবারই নিজের জমানো টাকা তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। শিবানীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
কৃষ্ণনগর অ্যাপ্রোচ রোডের ঘোষপুকুরের বাসিন্দা শিবানী ঘোষ। বাবা রাজ্য সরকারের কর্মচারী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শিবানী ছোট থেকেই দৃষ্টিহীন। কিন্তু বরাবরই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছে তাঁর। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। অর্থ উপার্জনও হয়েছে। সেই উপার্জন ও জমানে অর্থ দিয়েই রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়ালেন পড়ুয়া। শিবানীর মা জানান, বর্তমান পরিস্থিতি চোখে দেখতে না পারলেও মেয়ে অনুভব করতে পারছে সবটা। তাই আতঙ্কে রীতি মতো কাঁটা হয়ে আছেন। প্রতিমুহূর্তে মায়ের কাছ থেকে জানছে পরিস্থিতি। আর এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা যেন তাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখিয়েছে।
তাই মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের কথা ঘোষণা করা মাত্রই নিজের স্বল্প সঞ্চয় উজার করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছিলেন শিবানী। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঘর থেকে বেরোনো তার পক্ষে অসম্ভব। তাই সেতুর কাজ করছেন শিবানীর মা সুজাতা দেবী। তিনিই মেয়ের উপার্জনের টাকা পৌঁছে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। শিবানীর কথায়, দেশের বড়ই বিপদ। তাই সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মেয়ের এই উদ্যোগে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি শিবানীর বাবা-মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.