সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ভিনরাজ্যে ডাক্তারি পড়তে যাচ্ছিলেন। উত্তরপ্রদেশে চলন্ত ট্রেনে দুষ্কৃতীদের হামলার প্রাণ গেল এক তরুণী ও তাঁর মায়ের। মৃতেরা দুর্গাপুরের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুর রোড ও বৃন্দাবন স্টেশনের মাঝে।
দুর্গাপুর শহরের রাঁচি কলোনিতে থাকতেন বছর আঠেরোর মণীষা ডোম। তাঁর বাবা গাড়িচালক, মা গৃহবধূ। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর জয়েন্ট এন্ট্রান্সে বসেছিলেন মণীষা। কিন্তু ব়্যাঙ্ক ভাল হয়নি। মেয়েকে রাজস্থানের কোটায় ডাক্তারি পড়তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দিলীপ ডোম। ওই দম্পতির বড় মেয়ে থাকেন দিল্লিতে। গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর থেকে পূর্বা এক্সপ্রেসে দিল্লির রওনা হন মণীষা ও তাঁর মা মীনাদেবী। দিল্লি থেকে কোটা যাওয়ার পথে ট্রেনে দুষ্কৃতীদের হামলার প্রাণ গেল দু’জনেরই।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ট্রেন যখন উত্তরপ্রদেশের মথুরাপুর রোড ও বৃন্দাবন স্টেশনে মাঝমাঝি জায়গায়, তখন চলন্ত ট্রেনে হামলার চালায় দুষ্কৃতীরা। কামরার ভিতরে মীনা ডোমের ব্যাগ ধরে টানাটানি করতে শুরু করে তারা। বাধা দিলে ওই গৃহবধূকে চলন্ত ট্রেন থেকে বাইরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাকে বাঁচাতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন মণীষাও। ঘটনাস্থলেই মারা যান দু’জনেই। আর এই ঘটনার সময় ওই তরুণী ও তাঁর মায়ের সঙ্গে ছিলেন এক আত্মীয়ও। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ময়নাতদন্তের মীনা ডোম ও তাঁর মেয়ে মণীষার মৃতদেহটি ওই আত্মীয়ের হাতে তুলে দিয়েছে জিআরপি। মৃতদেহ নিয়ে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। এদিকে এই ঘটনার খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমেছে দুর্গাপুরের রাঁচি কলোনি এলাকা। একইসঙ্গে স্ত্রী ও মেয়েকে হারিয়ে শোকের বাকরুদ্ধ দিলীপ ডোম।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
[ আরও পড়ুন: নদিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, জেলা হাসপাতালগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট প্রশাসনিক কর্তাদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.