শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতির বোনকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এই ঘটনাতে নাম জড়াল তৃণমূলের। অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই এসব কাজ চলছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কালাগড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
রবিবার ভোরে বাড়ির পাশেই শৌচালয়ে যায় চোপড়াগজের বিজেপি বুথ সভাপতির বোন। অভিযোগ, ফেরার পথে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে সোনারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চোপড়াগজের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টাও করা হয়। ওই ফাঁকা জায়গায় অসুস্থ কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
ইতিমধ্যেই ছাত্রীর খোঁজখবর করা শুরু হয়। কোথায় গেল সে, তা জানতে এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেন স্থানীয়রা। বেশ কিছুক্ষণ পর ওই ফাঁকা জায়গা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে চোপড়ার দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনাস্থলেও যান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে মানি ব্যাগ, আধার কার্ড এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি সাইকেলও পাওয়া গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচীন মক্কার বলেন,”তদন্ত করছি। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, “তৃণমূল এই কাজ করেছে।” এই অভিযোগ সামনে আসার পরই চোপড়ার কালাগড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। তার ফলে তৈরি হয় তীব্র যানজট। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর ঘটনাস্থলে যান চোপড়ার আইসি-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। পথ অবরোধকারীরা চোপড়ার আইসিকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায়। আপাতত বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.