শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ইসিএলের খনিতে কেবলের তামার তার কাটাই লক্ষ্য। আর সে কারণেই রবিবার রাতে ইসিএল (ECL) মুগমা এরিয়ার কুমারডুবির ভাগ্যলক্ষী ইনক্লাইনে ঢুকে পড়ে অন্তত ২০ জন দুষ্কৃতী। বাধা পেয়ে গুলি চালাল তারা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সোমবার সন্ধে পর্যন্ত খনির ভিতরেই রয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাদের গ্রেপ্তারিতে খনিটিকে ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ও সিআইএসএফ বাহিনী।
রবিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের ইসিএল মুগমা এরিয়ার কুমারডুবির ভাগ্যলক্ষী ইনক্লাইনে ঢুকে পড়ে অন্তত ২০ জন দুষ্কৃতী। রাত ১টা নাগাদ তা জানাজানি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআইএসএফ বাহিনী ও ধানবাদ পুলিশের দল। দুষ্কৃতীদের বারবার সতর্ক করা হয় তারা যাতে আত্মসমর্পণ করে। নইলে তাদের গুলি করা হবে বলেই জানানো হয়। তবে দুষ্কৃতীরা আত্মসমর্পণ করেনি।
পরিবর্তে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজিও করে দুষ্কৃতীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সোমবার সন্ধে পর্যন্ত এখনও কোনও দুষ্কৃতীই আত্মসমর্পণ করেনি। তাই বাইরে থেকে খনি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। একই সঙ্গে কোলিয়ারির ম্যানেজার ও পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে কোলিয়ারির ভিতরে পৌঁছনোর কৌশল তৈরি করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি এবং বোমার ঘায়ে গুরুতর জখম হন নিরাপত্তারক্ষী অবোধ বিহারী। তাঁর দু’টি আঙুলে চোট লাগে। নিরাপত্তারক্ষীর চোট যথেষ্ট গুরুতর।
গত মাসেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারান ইসিএলের এক নিরাপত্তারক্ষী। কয়লা চুরিতে বাধা পাওয়ায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করা হয়। কয়লা কাটার গাইতি দিয়ে কুপিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ। রানিগঞ্জের কুনুস্তোডিয়া এরিয়ার বাঁশরা ওসিপি এলাকার এই ঘটনায় মৃত্যু হয় বছর একত্রিশের নিরাপত্তারক্ষী মনোজ চৌহান। অন্ডাল (Andal) থানার জামবাদ বেনিয়াডিহি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ইসিএলের রেলওয়ে সাইডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন মনোজ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ইসিএলের খনিতে দুষ্কৃতী হানা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.