দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: জমি নিয়ে বিবাদ। অশ্লীল গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি। বিতর্কে শাসকদলের টাউন সভাপতি ও হুগলির রিষড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর হর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্রতী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি। শাসক দলের নেতার কীর্তি ধরা পড়েছে গোপন ক্যামেরায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর।
[জামাইষষ্ঠীতে গিয়ে বচসা, কামড়ে শাশুড়ির কান ছিঁড়ে নিল জামাই]
রিষড়া শহরের এন সি পাকড়াশি লেনে বাড়ি-সহ পাঁচ কাঠা জমি নিয়ে গণ্ডগোল। বাড়ি ও জমির আসল মালিক সুখদাময়ী নারী শিল্প মন্দির। বছর তিনেক আগে সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ড জমি ও বাড়ি রিষড়া পুরসভাকে দান করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই বাড়ি ও জমি এখন রিষড়া পুরসভার সম্পত্তি। কিন্তু, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন ব্রতী বন্দ্যোধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। ভাড়া দেওয়া তো দূর অস্ত, পুরসভার মালিকাধীন বাড়িতে থাকার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় অনুমতিও নেননি বলে অভিযোগ। এদিকে দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাড়িটিও বেহাল হয়ে পডে়ছিল।
জানা গিয়েছে, গত ১০ জুন রিষড়ার এন সি পাকড়াশি লেনের ওই জমিতে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন ব্রতী বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি গ্যারেজ তৈরি করা হয়েছিল। পুরসভার জমিতে নির্মাণকাজে আপত্তি তোলেন শাসক দলের রিষড়া টাউন সভাপতি ও প্রাক্তন কাউন্সিলার হর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, নির্মাণকাজ চলাকালীন ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রতী বন্দ্যোপাধ্যায় অশ্লীল গালিগালাজ করেন তিনি। এমনকী, মেরে পুঁতে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে গোপন ক্যামেরা। প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরু্দ্ধে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্রতী বন্দ্যোপাধ্যায। তাঁর দাবি, ওই বাড়ি ও জমি যে রিষড়া পুরসভার সম্পত্তি, তা তিনি জানতেন না। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এসিপি মল্লিকা গর্গ। যদিও গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসক দলের প্রাক্তন কাউন্সিলর হর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, পুরসভার সম্পত্তিতে বেআইনিভাবে বসবাস করছিলেন ব্রতী বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল করা যায় না।
[ভিন গোত্রে প্রেমের শাস্তি, প্রেমিককে মারধর করে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.