ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পেট চালাতে কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল। বাঘের কবলে মহিলা মৎস্যজীবী। তবে সঙ্গীদের বুদ্ধির জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন মহিলা। বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) মাধবনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
জানা গিয়েছে, ৩০ অক্টোবর পাথরপ্রতিমার সত্যদাসপুর সবুজবাজার থেকে মোট ছ’জন কাঁকড়া ধরতে যায় চুলকাঠি জঙ্গলের বিজয়াড়া চরে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুবল মল্লিক, তাঁর স্ত্রী কাজল মল্লিক, ভারতী মল্লিক, অবিনাশ নায়েক, সরস্বতী ভক্তা, শম্ভু নায়েক। পরিকল্পনা মোতাবেক খাঁড়িতে কাঁকড়াও ধরেন তারা। রবিবার রাতে নৌকোয় ছিলেন ওই ছ’জন। নৌকোর উপর ছাউনিও দেওয়া ছিল। আচমকা ছাউনির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দক্ষিণরায়।
জানা গিয়েছে, বাঘের দাঁত ও নখ বসে যায় কাজল মল্লিকের মাথা, দুই হাত ও মুখের একপাশে। অবস্থা বেগতিক বুঝে কাঁকড়া ধরার লাঠি, শাবল দিয়ে বাঘকে পালটা আক্রমণ করে মৎস্যজীবী অবিনাশ। লাগাতার আক্রমণের জেরে চম্পট দেয় বাঘ। রক্তাক্ত অবস্থায় সোমবার সকালে ওই মহিলাকে নিয়ে আসা হয় পাথরপ্রতিমায়। পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির ভূমিকর্মাধক্ষ্য শেখ ফকরুদ্দিন আলি এবং বিডিও অফিসের কর্মীদের তৎপরতায় ওই মহিলাকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে পাথরপ্রতিমার ২ জন আহত হয়েছে বাঘের হানায়। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ দেড়েক আগে শ্যালক উত্তম নায়েক, শ্যালকের স্ত্রী তপতী নায়েক ও প্রতিবেশী জয়ন্তী ভক্তা, হুকুল ভক্তা, সুভাষ ভক্তা ও গুরুবাড়ি ভক্তার সঙ্গে দাসপুর থেকে যন্ত্রচালিত ভটভটি নৌকোয় কলসদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন শংকর নামে এক মৎস্যজীবী। নৌকোয় বসে রাতের খাবার খাওয়ার সময় বাঘ হামলা চালায় শংকরের উপর। সঙ্গীরা কোনওক্রমে বাঘের মুখ থেকে ছিনিয়ে আনে যুবককে। তবে ততক্ষণে গুরুতর জখম হয়েছেন শংকর। ফলে নৌকোয় তোলার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.