দেবব্রত মণ্ডল, ক্যানিং: এবার জোড়া বাঘের আক্রমণে নিহত হলেন এক মৎস্যজীবী। গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে মু্ণ্ডহীন দেহ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার (Gosaba) লাহিড়িপুরে।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার সকালে চার মৎস্যজীবীর একটি দল সুন্দরবনের ঝিলা জঙ্গলের বানতলা খালে গিয়েছিল কাঁকড়া ধরতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, তাঁরা কাঁকড়া ধরার তোড়জোড় শুরু করতেই পিছন দিক থেকে তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। নৌকো থেকে তুলে নিয়ে যায় সুশান্ত মণ্ডল নামে বছর ৫২-এর ওই মৎস্যজীবীকে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মৎস্যজীবীর তিন সঙ্গী। তা সত্ত্বেও বাঘের পিছনে ধাওয়া শুরু করেন। কিন্তু সুশান্তবাবুকে আর দেখতে পাননি তাঁরা। এরপর নৌকোয় করে এলাকায় ফিরে সকলকে বিষয়টি জানান ওই মৎস্যজীবীর সঙ্গীরা।
খবর পাওয়া মাত্র সুশান্তবাবুর সন্ধানে জঙ্গলে যান গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, যে এলাকা থেকে বাঘটি ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় মুণ্ডহীন দেহ। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রত্যক্ষদর্শী মৎস্যজীবীদের কথায়, “একটি বাঘ যখন সুশান্তকে মুখে করে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছে তখন আরও একটি বাঘ হামলা চালানোর জন্য জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে। জোড়া বাঘের আক্রমণের আশঙ্কা করেই আমরা বাঘের পিছু না নিয়ে ফিরে আসি।”
বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে, মৎস্যজীবীদের দলটি কোনওরকম বৈধ অনুমতিপত্র ছাড়াই সুন্দরবনের জঙ্গলে ঢুকেছিল কাঁকড়া ধরতে। আর সেখানেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, প্রায়শই পেটের তাগিদে জঙ্গলে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মৎস্যজীবীরা। তা সত্ত্বেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বারবার জঙ্গলে যান তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.