সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সমবায় সমিতির মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি টাকা। ফলে চরম আর্থিক সংকটে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের সেলিমাবাদের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম। অবিলম্বে টাকা না পেলে আত্মহত্যা করতে হবে তাঁকে, একথা জানিয়ে এবার জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছন ওই কৃষক।
জানা গিয়েছে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সেলিমাবাদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির টোকেন সংগ্রহ করেন মনিরুল। ১৬ ডিসেম্বর নির্ধারিত দামে ৬১ কুইন্টাল ৯৭ কেজি ধান বিক্রি করেন। সরকারি হিসেবে যার দাম ১ লক্ষ ৮ হাজার ৪৪৭ টাকা ৫০ পয়সা। ধান বিক্রির দিনই মনিরুল রাইস মিল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, কবে টাকা মিলবে। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।
কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা পাননি তিনি। উলটে তিনি আদৌ কৃষক কি না তারও প্রমাণ দিতে হয়েছে তাঁকে। বর্ধমানের পূর্ত ভবন থেকে কলকাতার দপ্তরে গিয়েও পাননি টাকা। মনিরুল বলেন, “ধান বিক্রির টাকা না পেয়ে খুবই সমস্যা পড়েছি। আমন চাষ করতে পারছি না। তাই জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে বলেছি অবিলম্বে টাকা না পেলে সপরিবারে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।” এ বিষয়ে জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, ধান বিক্রি করলে কৃষক টাকা পাবেনই। কিছু ভুলত্রুটি বা সমস্যার কারণে টাকা পেতে দেরি হতে পারে। তবে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। ইতিমধ্যেই বিডিওকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডল বলেন, “এমন বেশ কিছু ঘটনা আমরা জানতে পেরেছিলাম।কোনওটায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যে ভুল বা অন্য কোনও ত্রুটি থাকার কারণে টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছিল। সেগুলির অনেকগুলিও মেটানো হয়েছে।” খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া টাকা পেতে এত দেরি হওয়ার কথা হয়। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.