রাজা দাস, বালুরঘাট: বাস্তব তিনি জীবিত৷ কিন্তু খাতায় কমলে দেখানো হয়েছে মৃত। কর্তৃপক্ষের এমন ভুলেই কৃষি পেনশন থেকে বঞ্চিত হলেন এক কৃষক। দ্রুত কৃষি পেনশন চালুর দাবিতে এবার জেলার কৃষি বিভাগের দ্বারস্থ হলেন হীরেন্দ্রমোহন দেব নামে ওই কৃষক।
[ আরও পড়ুন: রায়চকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হুগলি নদীর বাঁধে ধস, আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ]
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শেরপুর এলাকায় বাড়ি ওই কৃষক হীরেন্দ্রমোহন দেব। কৃষিকাজ করেই জীবনযাপন করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, আগে কৃষি পেনশনের আওতায়ভুক্ত থাকলেও, ২০১৮-র এপ্রিল মাস থেকে কোনও পেনশন বা ভাতা পাননি। অথচ নিয়মমাফিক মার্চ মাসে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনও করেছিলেন৷ এবং এই বিষয়ে বালুরঘাটের কৃষি বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে একাধিকবার দরবারও করেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেন কৃষক হীরেন্দ্রমোহন দেব৷ তিনি জানান, সমস্যা মেটানোর পরিবর্তে বরং বালুরঘাট কৃষি বিভাগের আধিকারিক তাঁকে জানান, কাগজপত্রে তিনি নাকি মৃত। আর সেই কারণেই কৃষি পেনশনের টাকা ঢুকছে না তাঁর অ্যাকাউন্টে৷
[ আরও পড়ুন: সজিদে নমাজ পড়ার সময় হামলা, কোদাল দিয়ে মেরে খুন মোমিনকে ]
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮-র মার্চ মাসে কৃষি বিভাগ থেকে বুনিয়াদপুর পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে সমীক্ষা করা হয়। এবং সেই সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতেই হীরেন্দ্রমোহনকে মৃত বলে দেখানো হয়। আর এরপরেই তাঁর পেনশন বন্ধ হয়ে যায়৷ কৃষক হীরেন্দ্রমোহন দেব বলেন, ‘‘২০১৮-এর মার্চের পর কোনও টাকা পাইনি৷ কৃষি বিভাগ থেকে মৃত ঘোষণা করে পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে। অবিলম্বে পেনশন চালু করার এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি৷’’ এই বিষয়ে জেলা কৃষি আধিকারিক জ্যোতিস্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রতি ছ’মাস অন্তর পেনশন প্রাপকদের একটি লাইফ সার্টিফিকেট ফর্ম ফিল আপ করতে হয়৷ তবে হীরেন্দ্রমোহন বাবুর ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে কিনা, তা জানা নেই৷ আদৌ তিনি ফর্ম ফিল আপ করেছিলেন কিনা, তা দেখার পর বিষয়টি নিয়ে বলতে পারব।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.